Seo Services

শুদেরও ডায়াবেটিস?

4:09 AM

শিশুর ডায়াবেটিস
Diabetes-diabetes


শুধু বড়রাই নয়, ডায়াটিস আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক-ভাবে বাড়ছে ছোটদের মধ্যেও।


শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের কারণ

•    গর্ভবতী মায়েদের অনিয়ম এবং অপুষ্টিজনিত কারণে
•    জন্ম নেওয়া কম ওজনের শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
•    আবার ধনী পরিবারের শিশুদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি
•    কারণ তাদের খাবারে মাংস-চিজ-মিষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে
•    তার তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম কম করা
•    সারাক্ষণ বসে থাকা, প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ না থাকা।


শিশুদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ

•    রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ওজন কমে যায়
•    অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া
•    দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা
•    অতিরিক্ত দুর্বলতা
•    শিশুদের মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হয়
•    খেলাধুলায়  আগ্রহ থাকে না
•    মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।


শরীরে এর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে শিশুর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি শিশুর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তবে ওষুধের পাশাপাশি খাবারের দিকে প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে।


খাবারের তালিকায় পরিমাণে বেশি রাখতে হবে

পেয়ারা, আমলকি, আমড়া, কাঁচা আম, লেবুসহ টক ফল
সবুজ শাক ও সবজি

পরিমিত খেতে হবে
পেঁপে, আম, কাঁঠাল, কলাসহ মিষ্টি জাতীয় ফল। এছাড়াও ফাস্ট ফুড, অতিমাত্রায় তেল-চর্বিযুক্ত, ভাজা-পোড়া খাবার।

খাওয়া বন্ধ
চিনি, কোল ড্রিংস, মিষ্টি, আইসক্রিম- মিষ্টি জাতীয় খাবার।


শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুকেই নয়, সব শিশুর জন্য খোলা জায়গায় দিনে অন্তত এক ঘণ্টা খেলার ব্যবস্থা করতে হবে। সারাক্ষণ ফোন বা ট্যাবে গেম খেলা আর টিভি দেখার অভ্যাসও দূর করে শারীরিক পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
শুদেরও ডায়াবেটিস? শুদেরও ডায়াবেটিস? Reviewed by Unknown on 4:09 AM Rating: 5

এসিডিটি দূর করুন সহজেই?

3:56 AM
এসিডিটি দূর করুন সহজেই
 easily


নানা ধরনের খাবার থেকে পেটে ব্যথা, গলা-বুক জ্বালা, মাথাব্যথা বা বুকে চাপ ধরে থাকে, এগুলো এসিডিটির লক্ষণ। এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ঘরেই রয়েছে বেশ কিছু উপাদান। চেষ্টা করে দেখুন...


•    আখের গুড়ের সাথে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।

•    গোল মরিচের গুঁড়া, আদা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া এবং সমান পরিমাণ শুকনো পুদিনা পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।

•    খাওয়ার পরে আমলকী ও হরীতকীর রস নিয়মিত খেলে এর যাদুকরী ফল পাবেন খুব দ্রুত। কারণ এটা খেলে এসিডিটির সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

•    তুলসী ও আমলকীর রস অম্লতা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন খাওয়ার আগে আধা কাপ এই রস খেতে হবে।

•    প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন বা তিনটি লবঙ্গ চিবিয়ে খান, ভুলেই যাবেন কখনো এসিডিটির সমস্যা ছিল।

•    অর্ধেকটা পাকা টমেটো নিয়মিত খেলে এসিডিটির কষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি দেবে।

•    পাকা পেঁপে অম্লতা দূর করতে খুবই সহায়ক

•    নিয়মিত দই খেলে এসিডিটি দূর হয়।


এই উপকরণগুলো প্রায় সবসময়ই আমাদের ঘরে থাকে। তাই এসিডিটি হলে ঘরোয়াভাবেই সমাধান করুন।

এসিডিটি দূর করুন সহজেই? এসিডিটি দূর করুন সহজেই? Reviewed by Unknown on 3:56 AM Rating: 5

কোনটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর কলা?

3:32 AM


পাকার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় কলার রং

ক্যালরির চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে সহজলভ্য ফল কলা। ফলটিতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ ১০০। এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

বাজারে সহজেই পাওয়া যায় নানারকম কলা। পাকার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় কলার রং। যেমন: সবুজ রংয়ের কলা, হলুদ রংয়ের, হালকা দাগযুক্ত কলা। ফলে আমরা প্রায়ই ভেবে থাকি, কোনটি সবচেয স্বাস্থ্যকর কলা।

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য বিভিন্ন রংয়ের কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

কলা পেকে গেলে তার রঙের পরিবর্তন হয়। প্রত্যেক কলারই বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু এ নিয়েই আমরা সবচেয়ে বেশি দ্বিধায় পড়ি।

সবুজ রংয়ের কলা

কলার রং সবুজ থাকলে এটি হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা খাবারে চিনি কম খান তাদের জন্য সবুজ রঙের কলা উৎকৃষ্ট।

সবুজ রংয়ের কলা 
সবুজ রঙের কলাকে কাচকলাও বলা হয়। এতে প্রো-বায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই ভালো কাজ করে।

হলুদ রংয়ের কলা
 
অনেকেই এ রঙের কলাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করেন। এ কলা খেতে মিষ্টি ও নরম। সবুজ কলার থেকে হলুদ রংয়ের কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। পাকার সঙ্গে সঙ্গে কলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বেড়ে যায়।


তবে পুষ্টিবিদরা টাইপ-২ ডায়েবেটিকসে আক্রান্তদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকা এ কলা পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

দাগযুক্ত কলা 

যে কলায় যত বেশি দাগ থাকে সে কলায় তত বেশি সুগার থাকে। দাগ থাকা বাদামি জায়গাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

দাগযুক্ত কলা
বাদামি রংয়ের কলা:

কলা খুব বেশি পেকে যাওয়ার পর যখন বাদামি রং ধারণ করে তখন আমরা অনেকেই এটি খাই না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বাদামি রঙের এ কলাতেই সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এ ফলকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউসও বলা হয়।

বাদামি রংয়ের কলা
এতে সুগারও থাকে অনেক বেশি। এ রঙের কলার ক্ষেত্রে ডায়াবেটিকস আক্রান্তদের সতর্ক থাকতে হবে।
কোনটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর কলা? কোনটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর কলা? Reviewed by Unknown on 3:32 AM Rating: 5

ঠাণ্ডা জ্বরে...নাজে হাল?

3:13 AM
naj-hal
ill


সর্দি, জ্বর কমাতে 

শীত আসতে হেমন্ত পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু বাড়িতে অনেকেরই ঠাণ্ডা, কাশি, জ্বর শুরু হয়ে গেছে।

গলাব্যথা, মাথাব্যথা, কাশি, সর্দি, জ্বর কমাতে ঘরেই রয়েছে দারুণ কিছু সমাধান। ট্রাই করুন:

•    মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে, গলাব্যথাও কমায়। মধু শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। কাশি কমাতে এক কাপ লেবু চায়ের মধ্যে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

•    হালকা গরম পানিতে গার্গল করলে গলাব্যথা কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটিও কাশি কমাতে বেশ কার্যকর।

•    এক টুকরো আদা মুখে চাবাতে পারেন। বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসবে।


•    মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া এবং লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা দিনে তিনবার খান।

•    এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে সমান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে, প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এটি শ্বাসযন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে, বুকের ব্যথা কমায়।

•    ফুটন্ত পানিতে মেন্থল মেশান। এবার মাথায় টাওয়েল চাপা দিয়ে, বড় করে দম নিয়ে, ভাপ নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন। গরম পানির ভাপ নিলে বুকে কফ জমতে পারে না


•    জ্বর হলে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিন।

•    গরম ও টাটকা খাবার খেতে হবে

•    তোয়ালে, বিছানা, বালিশ আলাদা রাখতে হবে। 

বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত অসুখে। তবে বড়দের বা শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না। 

ঠাণ্ডা জ্বরে...নাজে হাল? ঠাণ্ডা জ্বরে...নাজে হাল? Reviewed by Unknown on 3:13 AM Rating: 5

তেলাপোকারা পালাবে...কী ভাবে জেনে নিন?

3:02 AM
 will-flee-how-to-know


তেলাপোকা

ছোট ছোট তেলাপোকাগুলো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় যখন ঘুরে বেড়ায়, এদের তাড়াতে রীতিমতো যুদ্ধ করেও তেমন ‍উপকার পাওয়া যায় না। চাইলে কিন্তু তেলাপোকামুক্ত ঘর সহজেই পেতে পারেন, কীভাবে? জেনে নিন:


•    আলমারিতে বা কাপড় রাখার স্থানে তোশকের নিচে শুকনো নিমপাতা বা কালোজিরা কাপড়ে বেঁধে রাখুন। নিমপাতা পানিতে দিয়ে ঘর মুছুন। তেলাপোকার উপদ্রব কমবে।

•    বেকিং সোডার সঙ্গে মেশান মধু বা চিনি। মিষ্টির সঙ্গে মিশিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন ঘরে। মিষ্টির গন্ধে তেলাপোকা সেই খাবারে আকৃষ্ট হবে ও বেকিং সোডার প্রকোপে মারাও পড়বে।

•    তেলাপোকা দূর করতে ঘরের চারপাশে বোরিক পাউডারের সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন।

•    তেজপাতা দিয়ে সহজেই তেলাপোকা তাড়াতে পারেন। তেজপাতার গুঁড়া ছড়িয়ে দিন ঘরের আনাচে কানাচে, এর গন্ধ তেলাপোকা সহ্য করতে পারে না।

•    এছাড়া গোলমরিচ এক চা চামচ, রসুন আর পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ নিয়ে এক লিটার পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এই পানি ঘর মোছার জন্যও ব্যবহার করুন। তেলাপোকারা পালাবে এই ভাবেই।

তেলাপোকারা পালাবে...কী ভাবে জেনে নিন? তেলাপোকারা পালাবে...কী ভাবে জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 3:02 AM Rating: 5

আঁচিল দূর করতে কী প্রয়োজন ?

2:52 AM
 the-skull

আঁচিল দূর করতে

আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচিল(বাড়তি মাংসপিণ্ড) দেখা যায়। আঁচিলগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু তো নয়, দেখতেও ভালো লাগে না। 

আঁচিলগুলো সরাতে রয়েছে কিছু চিকিৎসা। যেমন সার্জারীর মাধ্যমে আক্রান্ত কোষকে কেটে বাদ করার মাধ্যমে৷ লেজার চিকিৎসাও আজকাল করছেন অনেকে। তবে এই চিকিৎসাগুলো বেশ ব্যয় বহুল।

প্রথমে নিজেই একটু ট্রাই করতে পারেন, ঘরোয়াভাবেই ব্যথাহীন আঁচিল দূর করতে। জেনে নিন পদ্ধতি: 


•    গার্লিক এক্সট্রাক্ট থেরাপি- এ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ৯০ শতাংশরও বেশি ক্ষেত্রে উপকারিতা পাওয়া গেছে। রসুনে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি ফাংগাল বা জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই সংক্রমণ সারিয়ে তোলে। রসুন আঁচিলের ওপর ২০ মিনিট রেখে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। এটা দিনে দুবার করুন পুরো সপ্তাহ জুড়ে, আঁচিল খসে পড়েছে ।

•    অ্যালোভেরা জেল তুলো দিয়ে আঁচিলের ওপর লাগিয়ে, এটাও ব্যান্ডেজ করে রাখুন ২০ মিনিট। দিনে দুবার করুন টানা দুই সপ্তাহ। আঁচিল দূর হবে সহজেই।

•    অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে জীবাণুনাশক উপাদান থাকে৷ ২ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার , এক চামচ পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় তুলো দিয়ে লাগিয়ে ‍একইভাবে আধাঘণ্টা ব্যান্ডেজ করে রাখুন। আঁচিল শুকিয়ে কালো হয়ে যাবে আর পড়েও যাবে, বুঝতেই পারবেন না।

আঁচিলের জন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

আঁচিল দূর করতে কী প্রয়োজন ? আঁচিল দূর করতে কী প্রয়োজন ?  Reviewed by Unknown on 2:52 AM Rating: 5

আমরা কেন বাদাম খাই?

2:39 AM
nuts


বাদাম

পরিবারে পূর্ণতা আসে সন্তানের আগমনে। ছোট ছোট হাত দুটি দিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন তৈরি করে সন্তান। যে দম্পতিরা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, প্রতিদিন বাদাম খান।

‍বাদাম কেন খেতে হবে? জেনে নিন: 

বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ভিটামিন C ও E, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক), ফলিক এবং অন্যান্য ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। এটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার।

সম্প্রতি এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যে সকল পুরুষ পিতৃত্ব পরিকল্পনা করছেন, তারা নিয়মিত বাদাম খেলে বীর্যের ঘনত্ব, পরিমাণ ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। 

নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে বীর্যের ডিএনএ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস পায়

 গবেষণার প্রতিবেদনে প্রতিদিন যেকোনো ধরনের ৬০ গ্রাম পরিমাণ বাদাম খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এই পরীক্ষার জন্য ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১১৯ যুবককে টানা ১৪ সপ্তাহ ধরে বাদাম খেতে দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়।

আমরা কেন বাদাম খাই?  আমরা কেন  বাদাম খাই? Reviewed by Unknown on 2:39 AM Rating: 5

শিশির ভেজা ঘাসে হাটলে কী হয় ?

2:29 AM
 Dew-wet-grass

শিশির ভেজা ঘাসে

সকালের শিউলি পড়া শিশির ভেজা ঘাসে ভোর বেলায় খালি পায়ে হাঁটছেন, এটা ভাবার অনুভুতিই তো ভালো লাগার।সত্যি সত্যি হাঁটার উপকারিতাও কিন্তু অনেক। 


•   ভোরবেলা খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে মন খুব শান্ত থাকে ‍
•    হাঁটার মাধ্যমে ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করি
•    সূর্যের আলো দেহে ভিটামিন ডি যোগায়
•    চোখের জন্যও ঘাসের সবুজ রং উপকারি
•    ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
•    পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পেশি মজবুত হয়
•    হাঁটু ও পিঠের ব্যথা দূর করে।

প্রতিদিন সকালে ঘাসের ওপর দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটুন। শরীর-মন দুই-ই ভালো থাকবে। 

শিশির ভেজা ঘাসে হাটলে কী হয় ? শিশির ভেজা ঘাসে হাটলে কী হয় ? Reviewed by Unknown on 2:29 AM Rating: 5

ব্লাড প্রেশার লো হলে কী করবেন জেনে নিন?

4:32 AM
what-to-do-if


রক্তচাপ

আমরা রক্তচাপ বেড়ে গেলে সচেতন হয়ে যাই শরীরের সুস্থতার বিষয়ে। তবে অনেককেই দেখা যায় ব্লাড প্রেশার হলে আর পাত্তা দেন না। খাদ্যাভ্যাস, মানসিক উদ্বেগ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, স্নায়বিক দুর্বলতার কারণে শরীরের রক্তচাপের ওপর প্রভাব পড়ে।

পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০। রক্তচাপ ১১০/৬০-এর নীচে হলে লো ব্লাড প্রেশার বলে। 


রক্তচাপ  কমে গেলে-

•    মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না
•    দূর্বল লাগে
•    বুক ধড়ফড় করে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়
•    অন্ধকার দেখা
•    বমি ভাব
•    জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন।


প্রেশার কমে গেলে যা করতে হবে-

•    এক গ্লাস পানিতে ২-৩ চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে  পান করুন
•    চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন
•    ডিম ও দুধ খেতে পারেন
•    কফিতে ক্যাফিন থাকে তাই এটি তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে
•    কড়া করে একমগ কফি পান করুন।


রক্তচাপ কমে গেলে অবহেলা না করে  দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।

ব্লাড প্রেশার লো হলে কী করবেন জেনে নিন? ব্লাড প্রেশার লো হলে কী করবেন জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 4:32 AM Rating: 5

ডিম প্রতিদিন খেলে কী হয় ?

4:12 AM
eat

সেদ্ধ ডিম

ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক সবই রয়েছে ডিমে।

নিয়মিত ডিম খেলে: 

•    শিশুর মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে
•    সপ্তাহে চারটি ডিম টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ৩৭ ভাগ ঝুঁকি কমায়
•    অবসাদ দূর করে মানসিকভাবে চাঙা রাখে
•    রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে
•    রাতকানার ঝুঁকি কমায়
•    হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে
•    ডিমে আছে ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত শক্ত করে।


শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই সকালের নাস্তায় একটি ডিম খেতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ । তিনি বলেন, ক্যালোরি হিসাব কষে তো খাবেনই তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরি আছে। এর মধ্যে ৬০শতাংশ ক্যালরি আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালে একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দূর্বলতা হ্রাস পায় ৷

তবে উচ্চরক্তচাপ, স্থুলতার মতো শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ডিম খেতে হবে।

ডিম প্রতিদিন খেলে কী হয় ? ডিম প্রতিদিন খেলে কী হয় ? Reviewed by Unknown on 4:12 AM Rating: 5

মশার কামড়ে ফুলে যায়, চুলকায় কেন?

4:24 AM
 why-itching


মশার কামড়ে ফুলে যায়

শীত আসি আসি করছে, কিন্তু মশারা এসে গেছে। মশার কামড় দিলে অনেকেরই শরীরের সেই অংশ ফুলে যায়, চুলকায়।

এই চুলকানোটা খুবই অস্বস্তির, এর থেকে মুক্তির পথ আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মশার কামড়ানোর পর এসব বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারি:

•    ঠাণ্ডা পানি বা বরফ দেয়া ব্যাগ চেপে ধরুন আক্রান্ত স্থানে, চুলকানো কমে যাবে
•    বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, এবার লাগিয়ে নিন
•    নিম তেল দিলেও মশার কামড়ে উপকার পাওয়া যায়
•    বাজারে কিছু ক্রিম পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন
•    অ্যালাজির ওষুধ খেলেও ফোলাভাব কমে
•    মশার কামড়ের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করুন।

বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করুন, নিয়মিত।আর্বজনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না। পাণি যাতে জমে না থাকে ,সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে । 

মশার কামড়ে ফুলে যায়, চুলকায় কেন? মশার কামড়ে ফুলে যায়, চুলকায় কেন? Reviewed by Unknown on 4:24 AM Rating: 5

বিয়ে করছো না কেন?

4:06 AM
Wedding


বিয়ের সাজে

বিয়ে আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। কিন্তু আমরা এটিকেই জীবন ভেবে নেই, আর সমস্যা হয় এখানেই। ‘বিয়ে করছো না কেন(!)’ একটা বয়সের পর এই কথা ছেলেদের যদি ১০ বার শুনতে হয়, তবে মেয়েদের শুনতে হয় ১০০০ বার!

আমাদের সমাজে মেয়েদের জন্য একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, ‘যত দিন ছাত্রী তত দিনই পাত্রী’। আর কোনো মেয়ের পড়া শেষ কিন্তু ‍এখনো বিয়ে হয়নি মানে তার আর বিয়ে হবে না। মেয়ের নিশ্চয় কোনো সমস্যা আছে বা আরও ভয়ঙ্কর কিছু। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অনেক আত্মীয় বা বন্ধুরা। এমনই ভুক্তভোগীদের একজন আদিবা, ভার্সিটি থেকে মার্স্টাস শেষ করে ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে জব করছেন।

নিজের পুরো দায়িত্ব তো নিয়েছেনই পরিবারেরও অনেকটাই তিনি দেখেন। সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে কখনোই একাকীত্ব অনুভব করেন না আদিবা। তবে তার চারপাশের মানুষের মাথার বোঝা হয়ে গেছে, কেন আদিবার বিয়ে হচ্ছে না? পরিচিত জনদের সঙ্গে দেখা হলেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই কথা, বয়স হয়ে যাচ্ছে, এরপর আর বিয়ে হবে না। এসব শুনে শুনে আদিবার অবস্থা এমন হয়েছে, তার আর পারিবারিক বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানেই যেতে ইচ্ছে করে না।

আদিবার মতোই যাদের অবস্থা, তাদের জন্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এক প্রতিবেদনে, বিয়ে বিষয়ক প্রশ্নের বেশ কিছু উত্তরের আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নকর্তা ও স্থান বুঝে কিন্তু উত্তরগুলো দিতে হবে।

প্রশ্ন কর্তা যখন বন্ধু, তাকে হাসতে হাসতে বলে দিন, গত ২০ বছর ধরেই তো মনের মতো একজনকে খুঁজছি, পাচ্ছি কই! আমার হয়ে কাজটা একটু করে দাও না। এটাও বলা যায়, কেন ‍আমার স্বাধীন আর ঝামেলাহীন জীবন দেখে কি তোমার হিংসে হচ্ছে?

হন যদি পাশের ফ্লাটের আন্টি বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়, তবে উত্তর দিতে হবে একটু ভেবে, সুন্দর করে বলুন আসলেই আন্টি আপনারাই তো আমার অভিভাবক, কত ভাবেন আমাকে নিয়ে। আমি তো বিয়ের বিরুদ্ধে নই, দেখা যাক...আপনারাও দেখেন।
 
আরও যা বলা যায়...

আমাকে দেখে কি অসুখী মনে হচ্ছে অথবা তুমি চিন্তা করো না, গিফট রেডি করো, যেকোনো দিন দাওয়াত পাবে।

কথা হচ্ছে যাই বলবেন, বলতে হবে রাগ না করে, আর অবশ্যই আঘাত না দিয়ে।

একা থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত আপনার। জীবনটাকে নিজের মতো করে গোছানোর জন্য যদি একটু সময় নিতেই হয়, তো নিন। তবে সব সময়ই নিজের পরিবারের কথাও মাথায় রাখুন, যেন আপনার কারণে বাবা-মা আর ভাই-বোন কোনো কষ্ট না পান।

অন্যরা কি ভাবছে এটা ভাবার জন্য ফ্রি সময় থাকলে ভাবুন। তবে ভালো হয় যদি ব্যস্ত থাকেন আর এসব নিয়ে ভাবার মতো সময় হাতে কম থাকে।

জীবনের প্রতিটি দিন সুন্দর একে উপভোগ করতে শিখুন।  জীবন টাকে বিয়ের বন্ধনে না বাধলে কখন জীবনের মানে বুঝা যাই না ।
বিয়ে করছো না কেন? বিয়ে করছো না কেন? Reviewed by Unknown on 4:06 AM Rating: 5

মিথ্যে অভিনয়?

4:33 AM
acting
“গল্পঃ মিথ্যে অভিনয়
Writer→ Tuktukeyღ
.
সকাল বেলায় আমি আর আমার স্ত্রী
মায়া দুইজন এক সাথে বসে নাস্তা
করছিলাম ।হঠাৎ কলিং বেল বেজে
উঠলো। আমি তখন বললাম, আমি দেখছি
কে এসেছে তুমি নাস্তা করো, মায়া
কোনো কথা না বলে নাস্তা করতে
লাগলো । আমি নাস্তা করা রেখে
উঠে দরজা খুলে দেখলাম একটা ছেলে
দাঁড়িয়ে আছে ।
তার হাতে একটা খাম।
আমাকে দেখে ছেলেটা খামটা
অামর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় ।
আমি খামটা হাতে নিয়ে দরজা বন্ধ
করে নাস্তার টেবিলে এসে বসি ।
তখন মায়া জিজ্ঞেস করে , কে
এসেছিলো।
আমি বললাম, একটা লোক এসে এই খাম
টা দিয়ে গেলো । এরপর খামটা খুলে
দেখি ভিতরে একটা চিঠি।
আমি চিঠিটা নিয়ে পড়ি । দেখি
তাতে লেখা , মায়া তোমার আর
আমার সম্পর্কের ঘটনাটা তোমার
স্বামীকে যদি বলে দেই তাহলে কেমন
হয় । তোমার সাথে আমার সম্পর্ক
কিভাবে হয় ।কখন আমরা কোথায় দেখা
করি সব কিছু যদি তোমার স্বামীকে
বলে দেই তাহলে কেমন হয় । ইতি
তোমার পুরোনো প্রেমিক ।
---
চিঠিটা পড়ে আমি ধমক দিয়ে বলি ,
এসব কি এসবের মানে কি ।
মায়া ভয়ে ভয়ে বলে , কি হইছে এতো
রাগলে কেনো।
আমি বললাম, কি হইছে তুমি জানো না
,তুমি বিয়ের আগে বলছিলে, তোমার
সাথে কোনো ছেলের সম্পর্ক ছিলো
না কিন্তু এখন এসব কি দেখছি। এই বলে
চিঠিটা তার হাতে দেই। সে তখন
সেটা পড়তে শুরু করে । চিঠিটা পড়া
হলে দেখি তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে
জল পরছে । সে কেঁদে কেঁদে বলল,
দেখো এসব মিথ্যা। কেউ আমাকে
বদনাম করার জন্য এমন কাজ করছে,
বিশ্বাস করো আমার কোনো ছেলের
সাথে সম্পর্ক ছিল না । আমি তখন রেগে
গিয়ে বলি, কিভাবে তোমাকে
বিশ্বাস করি' । তুমি আমার সাথে
বিশ্বাস ঘাতকতা করছো, আমার
বিশ্বাস ভেঙ্গে দিছো ।
সে তখন বলে, আমার কথা শুনো ,
আমাকে একটু বুঝতে চেষ্টা করো ।
আমি তখন বললাম, তোমার কোন কথাই
শুনতে আমি চাইনা, আমি প্রমাণ
পেয়েছি কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা
সেটার । এই বলে রাগ করে সেখান
থেকে উঠে রুমে চলে আসি। আসার সময়
তার দিকে তাকালাম , দেখি সে
এখনো কেঁদে চলেছে ।
---
রুমে এসে আমি হাসতে হাসতে
শেষ,আজ নিজেকে ভালো একজন
অভিনেতা মনে হচ্ছে । মায়ার সামনে
ভালোই অভিনয় করলাম , সে বুঝতে
পারে নাই সব কিছু সাজানো একটা
নাটক ছিলো।
অাসলে চিঠিতে যা লেখা ছিলো
সব মিথ্যে।
অার এই মিথ্যে কাজটা অামার
নিজের করা ।
গত রাতে সে আমাকে কথায় কথায়
বললো , আমি নাকি মানুষকে কষ্ট
দিতে জানি না । মানুষকে কাঁদাতে
পারি না । আসলে আমি চাই সবাই
জেনো সুখে থাকে
আমি চাইনা আমার কারনে কেউ কষ্ট
পাক । আমি হাজার কষ্ট পেলেও সবাই
যেন সুখে থাকে এটাই চাই ।
আমি কিন্তু ইচ্ছে করলে মানুষকে কষ্ট
দিতে পারি ।
মানুষকে কাঁদতে পারি । এটা ওকে
বুঝানোর জন্য মিথ্যে এই নাটকটা করি ।
গত রাতেই সে যখন বলছিলো এরপরে
আমি আমাদের বাড়ির পাশের এক ছোট
ভাই কে ফোন করে বলি একটা চিঠি
লেখে সকালে আমাকে দিয়ে যেতে
। কি কি লিখবে সেটাও বলে দেই,
আমি নিজে লিখি নাই কারণ আমার
হাতের লেখা সে বুঝতে পারবে । তাই
ছোট ভাইকে দিয়ে লেখালাম যাতে
সে বুঝতে না পারে এটা আমারি করা
কাজ । আর নাস্তা করার সময় সে ছোট
ভাইটা এসে চিঠি টা দিয়ে গেছে ।
---
এরপরে আমি একটা চিরকুট লিখলাম।
সবকিছুই সাজানো মিথ্যে একটা নাটক
ছিলো ।
কেনোই বা তার সাথে এমন কাজ
করলাম সব কিছু
লেখে চিরকুট টা নাস্তা করার
টেবিলের উপর রেখে বাসা থেকে
বের হয়ে আসলাম । আমি জানি সে
টেবিল পরিষ্কার করতে আসবে , তখন
সে চিরকুটটা পাবে আর সত্যিটা
জানতে পারবে । সত্যিটা চিরকুটে
লিখে দিলাম কারন সামনা সামনেই
যদি বলতে যাই সবকিছু সাজানো একটা
নাটক ছিলো । তাকে শুধু কষ্ট
দেয়ার জন্যই এমন কাজ করেছি। তাহলে
সে আমার বারটা বাজাবে ।
এখন চিরকুটে লিখে দিলাম সত্যিটা
জানার পর রাগ উঠলে আমাকে যেন
কিছু না করতে পারে । চিরকুট পড়ার পর
যখন তার রাগ কমবে তখন গিয়ে বাসায়
আসবো ।
দুপুরে ভয়ে ভয়ে বাসায় এলাম ,এসে
দেখি
সে টেবিল পরিষ্কার করে নাই , আমি
চিরকুট টা যেভাবে টেবিলের ওপর
রেখে গেলাম ঠিক তেমনি অাছে ।
তার মানে সে চিরকুট টা দেখে নাই ,
সত্যিটা এখনো জানতে পারে নাই ।
এরপরে আমি রুমে আসলাম
তার নাম ধরে দুবার ডাক দিলাম , কিন্তু
তার কোনো সারাশব্দ পেলাম না ।
তখনি আমার নজর গেল বিছানার উপর ,
দেখি সকালের চিঠিটা বিছানার
ওপর
পড়া , সাথে একটা চিরকুট ।
আমি চিরকুট টা হাতে নিয়ে সেটা
পড়তে লাগলাম। সেটাতে দেখি
লেখা।
প্রিয় স্বামী সকালের চিঠিটার
সম্পকে তোমাকে কিছু বলতে চাই, পাঁচ
বছর আগের ঘটনা , আমি যখন কলেজে
পড়তাম ,তখন একটা ছেলের সাথে
আমার সম্পর্ক ছিলো । ওর সাথে আমার
সম্পর্ক ছিল দুই মাস, এর পরেই আমরা
ব্রেকাপ করি । আমাদের সম্পর্কটা
তেমন ঘনিষ্ঠ ছিল না । আর ব্রেকপের
কিছুদিন পর
আমি সবকিছু ভুলে যাই। তাই তোমার
সাথে যখন আমার বিয়ের কথাবার্তা
হয় , যখন তুমি আমাকে জিজ্ঞেস
করেছিলে । কোন ছেলের সাথে
আমার সম্পর্ক আছে কিনা , তখন আমি না
বলি । তোমাকে না বলি শুধু এই
কারণেই আমি সবকিছু ভুলে গেছিলাম।
নতুন করে আবার সবকিছু মনে করতে
চাইনি বলে ।
কিন্তু এতো বছর পর আবার আমার অতীত
সামনে এসে দাঁড়াবে তা আমি কখনও
কল্পনাও করি নাই ।
হতে পারে অামার অতিত তোমার
কাছে সাধারন ব্যাপার। কিন্তু এখন
আমি কিভাবে তোমাকে মুখ
দেখাবো , তোমার চোখে চোখ
রাখবো । প্রতিটা মূহতে মনে হবে আমি
তোমাকে ধোকা দিচ্ছি, এই অনূভুতি
নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবো । না
তা আমি কখনো পারবো না, তাই
চিরদিনের জন্য তোমাকে ছেড়ে চলে
যাচ্ছি। আর কখনো আমার এই মুখ
তোমাকে দেখাবো না । ভালো
থেকো তুমি আর পারলে আমাকে ক্ষমা
করে দিও । ইতি তোমার স্ত্রী মায়া ।
চিরকুট টা পড়ে পাগলের মতো তাকে
ডাকতে লাগলাম। একে একে সব রুমে
রান্নাঘরে সব জায়গায় তাকে খুঁজতে
লাগলাম । কিন্তু তাকে পেলাম না ,
তার মোবাইলে কল দিলাম, দেখি তার
মোবাইল বন্ধ। তারপর এক এক করে তার
মা বাবা বন্ধু বান্ধব সকল আত্মীয়
স্বজনকে কল করলাম। সে কোথাও নেই ,
কেউ তার সম্পকে কিছুই জানে না।
আমার মধ্যে একটা ভয় কাজ করা শুরু করল ,
তাকে হারানোর ভয়। এসব আমার
কারনে হলো ফাজলামি করতে গিয়ে
বড় একটা ভুল করে ফেললাম। সবকিছুর জন্য
আমি নিজেই দায়ী। আমার কারণেই
আমি আমার স্ত্রীকে চিরদিনের জন্য
হারাতে বসলাম।
আমার হঠাৎ মনে পড়লে সব জায়গায় তো
দেখলাম কিন্তু ছাদে দেখা হয়নি ।
তাড়াহুড়া করে ছাদে উঠে গিয়ে
দেখি , ছাদের এক কোনায় সে
দাঁড়িয়ে আছে , আমাকে দেখে সে
হাসতে লাগল। আর আমি ওকে দেখে
কেঁদে ফেললাম । তার কাছে গিয়ে
তাকে জড়িয়ে ধরলাম । তারপর বললাম,
এসব কি এসবের মানে কি , তুমি জানো
আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি , এমন কাজ
করা তোমার মোটেও ঠিক হয়নি ।
তখন সে বলে, আচ্ছা আর তুমি যে আমার
সাথে করছো সেই কাজটা কি ঠিক
ছিল ।
তখন আমি বলি , না , সেটাও ঠিক
ছিলো না , তারজন্য সরি । আচ্ছা তুমি
সত্যি টা জানলে কি করে ।
তখন সে আমার চোখের জলের ফোটা
গুলো তার শাড়ীর আচল দিয়ে মুচে
আমাকে জরিয়ে ধরে বললো ।
তুমি টেবিলের উপর যে চিরকুট টা
রেখে গিয়েছিলে সেটা পড়ে , তখন
আমার এত রাগ এসেছিলো তোমাকে
হাতের কাছে পেলে খুন করে
ফেলতাম । এরপর যখন রাগ কমলো তখন
প্ল্যান করলাম , তুমি যে ভাবে
আমাকে কষ্ট দিয়েছো , আমাকে
কাঁদিয়েছো , তেমনি আমিও
তোমাকে কষ্ট দিবো তোমাকে
কাঁদাবো । এরপর তোমার চিরকুটটা
টেবিলের উপর রেখে দিলাম যেমন
করে তুমি রেখে গেছো ঠিক তেমনি ।
তারপর আমি মিথ্যে একটা চিরকুট
লিখলাম , সেটা বিছানার উপর রেখে
ছাদে এসে লুকিয়ে থাকলাম । আমি
জানতাম তুমি আমাকে না দেখতে
পেয়ে আমাকে পাগলের মত খুঁজবে ।
আমি তখন বললাম , তার মানে আমি কষ্ট
দিয়েছি তার প্রতিশোধ নিলে । তখন
সে বলে , ঠিক তাই তার প্রতিশোধ
নিলাম ।
আচ্ছা তুমি কি করে ভাবতে পারলে
আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব ।
আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না
। তুমি যদি আমাকে যেতে বল আমাকে
দূর দূর করে তাড়িয়ে দেও তারপরও আমি
যাব না । মরার পরও তোমার পিছু আমি
ছারবো না , পেত্নী হয়ে তোমার
পাশে থাকবো , তোমাকে ছাড়া এক
মুহূর্ত আমি থাকতে পারবো না । কারন
অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায় ।
তখন আমি ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
বললাম।
আমিও তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত
থাকতে পারবো না,
কারন আমিও তোমাকে অনেক বেশি
ভালোবাসি ।
মিথ্যে অভিনয়?  মিথ্যে অভিনয়? Reviewed by Unknown on 4:33 AM Rating: 5

সম্পর্ক যখন উল্টো পথ..তখন কী করবেন তা জেনে নিন?

4:22 AM
is-on-the

সুন্দর সম্পর্ক

একটি সুন্দর সম্পর্ক যেমন জীবনটাই সুন্দর করে দিতে পারে। তেমনি সম্পর্ক যখন খারাপ যায় তখন পৃথিবীর কোনো সৌন্দর্যই যেন আর চোখে পড়ে না। মনও বিষিয়ে যায়, এমন অবস্থা কিন্তু একদিনে তৈরি হয় না।

সম্পর্কে ছোট ছোট কথা কাটাকাটি, ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। যার মূলে থাকে-


•    সঙ্গীর সমালোচনা, সারাক্ষণ যদি সঙ্গীর ভুলগুলো সামনে এনে সমালোচনা করা হয়, সে সম্পর্ক হয়ে ওঠে বিরক্তিকর

•    মানসিক দূরত্ব যদি তৈরি হয়,  তবে সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকেও যেতে পারে

•    অবজ্ঞা বা অবমাননা করলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়ে। এটি স্বাভাবিক সম্পর্ক নষ্ট করে

•    দুজনের সামাজিক অবস্থানে বিস্তর ফারাক থাকলে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক সত্যিই সহজ নয়


•    পছন্দ-অপছন্দের পার্থক্য থাকলেও সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়

•    নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলে সে সম্পর্ক নিয়ে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়

•    পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ যদি না থাকে, শারীরিক সম্পর্ক বা আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায়। তবে সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে ভেবে অভিমান করে দূরে না গিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সরাসরি আলাপ করা উচিত। দুজনের কথা-চিন্তা শেয়ার করতে হবে, জীবনটাকে কিভাবে দেখতে চাইছেন? এখন মনে হচ্ছে কিছু দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যদি না হয়, তখন কি হবে? সব দিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

সঙ্গী দুঃখপ্রকাশ করলে তার প্রতি ক্ষমাশীল হতে হবে। বিশ্বাস আর ভালোবাসা দিয়েই সম্পর্কে আস্থা ফেরাতে হবে। অন্তত চেষ্টা করতে হবে একসঙ্গে পথ চলার। তবেই সম্ভব একটি সুন্দর সম্পর্কে থেকে সবার কাছে অনুকরণীয় হওয়ার। তাই আপনার জীবন সঙ্গীকে সন্দেহ না করে তাকে বিশ্বাস করতে হবে।

সম্পর্ক যখন উল্টো পথ..তখন কী করবেন তা জেনে নিন? সম্পর্ক যখন উল্টো পথ..তখন কী করবেন তা জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 4:22 AM Rating: 5
ads 728x90 B
Powered by Blogger.