Seo Services

ধারণার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ই-সিগারেট কী ভাবে তা জেনে নিন?

11:03 PM

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে ধূমপানের একটি জনপ্রিয় বিকল্প ই-সিগারেট। ধূমপান ছাড়তে ইচ্ছুক এমন অনেকেই ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে’ এই ই-সিগারেটের শরণাপন্ন হন। এই বস্তু সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখতে সহায়ক বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু পূর্ববর্তী ধারণার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর ই-সিগারেট, নতুন একটি গবেষণা জানাচ্ছে এমন তথ্য।


 ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট ব্যবহারের ফলে ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধকারী কোষ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।


এর আগে ই-সিগারেট নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, সেগুলো ছিল এর মধ্যকার তরল রাসায়নিক মিশ্রণটি নিয়ে। এবারের গবেষণায় ৮ জন অধূমপায়ীর ফুসফুসের টিস্যুর নমুনাতে অনুমাননির্ভর পরীক্ষা চালানো হয়।

দেখা যায়, ভ্যাপিঙের ফলে ‘alveolar macrophages’ বা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জি প্রতিরোধকারী কোষের কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত স্মোকার ও দীর্ঘকালস্থায়ী ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও একইরকম লক্ষণ দেখা দেয়।
 ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় নিরাপদ হলেও এর ক্ষতিকর দিক ব্যাপক। এতে হয়তো ক্যানসারের ঝুঁকি কম। কিন্তু আপনি ২০ অথবা ৩০ বছর ধরে ই-সিগারেট ব্যবহারে ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে।

ধারণার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ই-সিগারেট কী ভাবে তা জেনে নিন? ধারণার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ই-সিগারেট কী  ভাবে তা জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 11:03 PM Rating: 5

ঘামাচি থেকে মুক্তির ৬ সহজ সমাধান জেনে নিন?

10:13 PM


তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম হয়। লোমকূপে ঘাম জমা হয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ৠাশ আর বাড়ে ঘামাচির উপদ্রব। ঘামাচির দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে থাকছে কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান - ছোলার ডাল - সারারাত ছোলার ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


ঢাকা: তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম হয়। লোমকূপে ঘাম জমা হয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ৠাশ আর বাড়ে ঘামাচির উপদ্রব। ঘামাচির দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে থাকছে কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান - ছোলার ডাল - সারারাত ছোলার ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে ঘামাচির উপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।

 অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল। অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করুন। চারপাশ থেকে কিনারের বন্ধ অংশগুলো কেটে ফেলুন। এবার ওপরের শক্ত আস্তর তুলে ফেললেই জেল বের হয়ে অ‍াসবে। শরীরের যেসব স্থানে ঘামাচি রয়েছে সেসব স্থানে অ্যালোভেরা জেল ঘষে নিন।
মুলতানি মাটি - চার টেবিল চামচ মুলতানি ম‍াটির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল ও পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে ল‍াগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।


 আলু পাতলা পাতলা করে স্লাইস করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। এতে ঘামাচি কমে যাবে ও অস্বস্তিকর চুলকানি থেকেও রেহাই পাবেন।

বেকিং সোডা- বেকিং সোডাতে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ। এটি ডিপ ক্লিনজার হিসেবেও পরিচিত। বেকিং সোডা ইনফেকশন দূর করে ও ত্বকে আরাম দেয়। পরিমাণমতো বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচির উপর লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

বরফ থেরাপি- এক টুকরো সুতির পাতলা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে পুটুলি বানান। এবার আস্তে আস্তে ঘামাচির উপর বরফের পুটুলি বুলিয়ে নিন ও চেপে ধরুন। দিনে ছয়ঘণ্টা অন্তর এভাবে দু’তিনদিন করলেই ভালো ফল পাবেন।তার সাথে তাড়াতড়ি ভালো হয়ে যাবে।এই ঘামাছির চুলকানি  তার থেকে  মুক্তির ঊপায়।
ঘামাচি থেকে মুক্তির ৬ সহজ সমাধান জেনে নিন? ঘামাচি থেকে মুক্তির ৬ সহজ সমাধান জেনে নিন?      Reviewed by Unknown on 10:13 PM Rating: 5

মানসিক কারণে শরীর গরম এবং মাথা ব্যাথা হতে পারে কী ভাবে তা জেনে নিন?

8:21 PM


আপনি লিখেছেন, আপনি খুব চিন্তা করেন। পরে লিখেছেন, আপনার শরীর খুব গরম হয়ে যায়, কিন্তু মাপলে জ্বর থাকে না। একথা থেকে এটা বোঝা গেলো যে যখন একা থাকেন তখন শরীর গরম হয়ে যায়, মাথার ডান দিকে ব্যাথা হয়, কিন্তু বাইরে গেলে থাকে না। ‍


আপনি লিখেছেন, আপনি খুব চিন্তা করেন। পরে লিখেছেন, আপনার শরীর খুব গরম হয়ে যায়, কিন্তু মাপলে জ্বর থাকে না।

একথা থেকে এটা বোঝা গেলো যে যখন একা থাকেন তখন শরীর গরম হয়ে যায়, মাথার ডান দিকে ব্যাথা হয়, কিন্তু বাইরে গেলে থাকে না। ‍

আপনার বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবে আপনার শেষের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেকারণেই আপনার এ লেখাটির উত্তর দেয়া জরুরি।

হ্যা, মানসিক সমস্যা বা মানসিক কারণে শরীর গরম এবং মাথা ব্যাথা দুটোই হতে পারে। মানুষ যখন দীর্ঘদিন ধরে কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে থাকে, অথবা হঠাৎ কোনো বিষয় যদি বড় কোনো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকী কোনো বিষয় আপাত দৃষ্টিতে চিন্তার কারণ মনে না হলেও যদি সেটা ভিতরে ভিতরে চিন্তিত করে তোলে, তবে সেটাও মাথা ব্যাথা বা শরীর গরমের কারণ হতে পারে।

 অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণে কোনো কাজে সঠিকভাবে মনোযোগ দেওয়া যায় না, ভালো ঘুম হয় না ফলে পরবর্তী দিনগুলোতে শরীর দুর্বল লাগতে পারে। গরম গরম অনুভব হতে পারে, মাথা ব্যাথার মতো উপসর্গও তৈরি হতে পারে।

এখানে আর একটি বিষয় আপনি উল্লেখ করেছেন, তা হলো বাইরে থাকি তখন ভালো লাগে। এখানে বাহিরে বলতে কি বোঝাচ্ছেন? অফিস থেকে বাইরে, ঘর থেকে বাইরে, নাকি বাইরে বলতে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে একথা থেকেও এটা স্পষ্ট যে, আপনি যে বাইরের কথাই বলে থাকেন না কেন, আপনি তখন আপনার চিন্তা বা দুশ্চিন্তা তৈরি হওয়ার মতো কারণ থেকে দূরে থাকেন। সুতরাং তখন ভালো থাকেন।

এখন এটা চিন্তা করে দেখতে পারেন। আপনি যেখানে থাকেন সেখানেই হয়তো আপনার কষ্টের বা দুশ্চিন্তার কারণ রয়ে গেছে। সেটা বাড়িতে নাকি অফিসে চিন্তা করে দেখতে পারেন। আর যদি দেশের বাহিরে হয় সেটাও সঠিক। অর্থাৎ তখনও আপনি যেকোনো ধরনের চিন্তা মুক্ত থাকেন বলে ভালো থাকেন।

আর একটি কথা বলা প্রয়োজন, এসবের বাইরে শারীরিক কারণেও এমন হতে পারে। সুতরাং অবশ্যই শারীরিক কারণগুলো আগে দেখে এবং বুঝে নিতে হবে। থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা বা অন্য আরো সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে।
প্রথমে এই সমস্যা গুলো নিজের  জানতে হবে, তার পর ও যদি ভালো না হয় অবশ্যই বিশেজ্ঞের পরার্মশ নিন।
মানসিক কারণে শরীর গরম এবং মাথা ব্যাথা হতে পারে কী ভাবে তা জেনে নিন? মানসিক কারণে শরীর গরম এবং মাথা ব্যাথা হতে পারে কী ভাবে তা জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 8:21 PM Rating: 5

সাত জনমেও বিয়ে ভাঙবে না কী ভাবে তা জেনে নিন?

4:40 AM


কে বলেছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিয়ে ভাঙে! যদি সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, ভালোবাসা থাকে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা থাকে, তবে সাত জনমেও বিয়ে ভাঙবে না।


বিয়ে একটি সামাজিক, ধর্মীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক। বিবাহিত নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকার যে প্রতিজ্ঞা করে, আন্তরিকভাবে চাইলে কখনোই সে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ নেই।

নারী-পুরুষের শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আস্থার যে নির্ভরশীলতা বিয়ের মাধ্যমে তৈরি হয়, এটা খুব ঠুনকো নয়, যে একটু ঝড়ো বাতাসেই তা ভেঙে যাবে।

বিয়ের সম্পর্ক স্থায়ী করতে মেনে চলুন ছোট কিছু টিপস। যেমন:

প্রথা মানুন
প্রতিটি পরিবার, এলাকা-বা নিজের ধর্মের কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি বা প্রথা থাকে। এগুলোর প্রতি সম্মান দেখান। এতে দুই পরিবারের সবাই আপনাদের খুব সহজেই আপন করে নেবেন।

একসঙ্গে খাওয়া 
কাজের ব্যস্ততায় দিনে তিন বেলা তো দু’জন একসঙ্গে খাবার খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু দিনের যেকোনো একটা বেলা অবশ্যই একসঙ্গে খাবার খান। সুযোগ থাকলে এক প্লেটে খান। আর আরও ভালো হয় যদি নিজের পছন্দের খাবারের শেষ অংশটুকু সঙ্গীকে নিজের হাতে খাইয়ে দেন। দীর্ঘদিন এভাবে খাওয়ার প্র্যাকটিসই আপনাদের সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত করে দেবে।

গুডবাই 
সারাদিনের জন্য আলাদা হয়ে কাজে যাচ্ছেন। প্রিয়জনকে এমনভাবে বিদায় জানান, যেন তিনি দ্রুত আপনার কাছেই ফিরতে চান। আবার যখন দিনের শেষে দেখা হয় তাকে অবশ্যই মিষ্টি হাসিতেই বরণ করুন, তিনি যেন বুঝতে পারেন-সারাদিন তারই অপেক্ষায় ছিলেন...

খাবার-পোশাক
আপনার পোশাক বা অন্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনার সময়ও সঙ্গীকে সঙ্গে নিন। তার পছন্দ জানতে চান, কোনটিতে আপনাকে বেশি ভালো মানাবে, এতে তিনি নিজেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন আপনার জীবনে। খাবারের বিষয়েও মাঝে মাঝে তার পছন্দেই নিজের মেন্যু ঠিক করে নিন। ছোট ছোট এই সময়গুলোর নামই কিন্তু সুখ।

একটু ছাড় 
প্রিয় মানুষটার জন্য একটু ছাড় দিন। ধরুন আপনার সব কিছুই একদম পারফেক্ট চাই। কিন্তু সঙ্গী ব্যস্ত থাকেন বা তার হয়তো শরীর বা মন খারাপ। কিছু কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না, দিন না একটু ছাড়, নিজেরাই ভালো থাকবেন। আবার অন্যজনের জন্য সঙ্গীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী চাহিদা সীমিত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


শারীরিক সম্পর্ক 
বিয়ের পরে একটা সময় পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক যদিও বেশ গুরুত্ব পায়। তবে এটাই একমাত্র চাওয়া নয়, দিনে দিনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক রক্তের সম্পর্ককেও ছাড়িয়ে যায়।

একটি সম্পর্ক তৈরি হয় ভাঙার জন্য নয়। বিয়ে টিকে থাক সুন্দর সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে, সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত এটা দুজনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাহলে জীবনে সম্পর্ক ভাঙ্গবে না।
সাত জনমেও বিয়ে ভাঙবে না কী ভাবে তা জেনে নিন? সাত জনমেও বিয়ে ভাঙবে না কী ভাবে তা জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 4:40 AM Rating: 5

পুষ্টিগুণে ভরপুর জলপাই কেন খাবেন তা জেনে নিন?

9:59 PM
পুষ্টিগুণে ভরপুর জলপাই

চিকিৎসক-পুষ্টিবিদরা বলেন অলিভ অয়েল খেতে, বিউটি এক্সপার্টরা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছর ত্বকে অলিভ অয়েল মাখতে বলেন।


হাজার টাকা লিটার বিদেশি অলিভ অয়েল আমাদের অনেকের ঘরেই থাকে। অথচ ৩০-৪০ টাকা কেজিতে ঝুড়িতে রাস্তার পাশেই বিক্রি হয় টাটকা জলপাই (অলিভ)। শরীর ও ত্বক দু’টোই ভালো রাখতে পুষ্টিগুণে ভরপুর জলপাই আমরা নিয়মিত খেতে পারি।

জেনে নেওয়া যাক জলপাই খাওয়ার উপকারিতাগুলো:

রক্তের কোলেস্টেরেল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
জলপাই-এর ভিটামিন ‘ই’ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
আয়রনের বড় উৎস, ফলে রক্তস্বল্পতা দূর করে
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল মসৃণ ত্বক ও মজবুত চুলের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জলপাই নিয়মিত খান
জলপাই এর আঁশ হজমশক্তি বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে
জলপাই–এর ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্যও ভালো
ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকর।

পুষ্টিগুণে ভরপুর জলপাই কেন খাবেন তা জেনে নিন? পুষ্টিগুণে ভরপুর জলপাই কেন খাবেন তা জেনে নিন? Reviewed by Unknown on 9:59 PM Rating: 5

১৬ বছরের আগেই শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কী ভাবে তা জেনে নিন?

4:05 AM


একজন মানুষ তার ১৬ বছর বয়সের আগেই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে অসুস্থতা থেকে ফিরে আসার আর কোনো পথ খোলা থাকে না।


অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং অ্যালকোহল পানের মতো খারাপ অভ্যাসগুলো সাধারণত মানুষের ১৯ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাস গড়ে উঠার ক্ষেত্রে ১৬ একটি বিপজ্জনক বয়স বলে গবেষকরা জানান।

তাই এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ার আগেই অর্থাৎ ১৩ বছর বয়স থেকেই শিশুদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচার চালানো উচিত বলে গবেষকরা সুপারিশ করেছেন।

 ‘এ ধরনের খারাপ অভ্যাসগুলোর মধ্যে অতি আহার, অ্যালকোহল পান, নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক, ধূমপান, মাদকাসক্তি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো সমস্যা দেখা দেয়।’

‘এর মধ্যে নারীরা পুরুষের তুলনায় অধিক ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। নারীদের ক্ষেত্রে দুর্বল জায়গাগুলো হলো নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, তামাক গ্রহণ, গর্ভধারণ এবং যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল এবং অবৈধভাবে মাদক গ্রহণ ও অতি আহারের প্রবণতা অধিক দেখা যায়।’

‘এক্ষেত্রে ১৬ বছর বয়সীদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ এ বয়স থেকে খারাপ অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করা শুরু করলে তা থেকে ফিরে আসার আর কোনো পথ নেই। তাই এ বয়স থেকেই শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত করতে তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।’

 মোট ২ হাজার ১৮ জন নারী-পুরুষের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন পূরণের নির্দেশ দেন। এদের মধ্য থেকে তিনি ১৩ থেকে ১৭ বছরের কিশোর এবং ১৮ থেকে ২৬ বছর বছরের তরুণ এ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেন এবং তাদের লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এবং এতে দেখা যাই ১৩-১৭ বছর বয়সীরা বেশি  ঝুকিপূণ।


১৬ বছরের আগেই শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কী ভাবে তা জেনে নিন? ১৬ বছরের আগেই শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কী ভাবে তা জেনে নিন?     Reviewed by Unknown on 4:05 AM Rating: 5

খুব খারাপভাবে সম্পর্ক ভাঙবেন না কী ভাবে ভাঙ্গা যাই জেনে নিন?

3:46 AM


আপনার যে কোনো সম্পর্কের সমাপ্তিটা হতে পারে একটি খুব খারাপ আচরণের মাধ্যমে। যদিও তা খুব কাজের কাজ নয়। এটাও মনে রাখা দরকার সব সম্পর্ক জীবনের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্ক খুব জঘন্য অবস্থানে যাওয়ার আগেই তার সুরাহা করা।

আপনার যে কোনো সম্পর্কের সমাপ্তিটা হতে পারে একটি খুব খারাপ আচরণের মাধ্যমে। যদিও তা খুব কাজের কাজ নয়। এটাও মনে রাখা দরকার সব সম্পর্ক জীবনের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্ক খুব জঘন্য অবস্থানে যাওয়ার আগেই তার সুরাহা করা। ধরুন আপনি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ভাববেন না কাজটা খুব সহজ। সম্পর্ক শেষ হলেও আপনার প্রিয়জনের ভালোবাসা আপনার প্রতি আগের মতোই থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনাদের সুন্দর সম্পর্কটি একটি বিশ্রী সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ না হয়। আমরা এখানে বলব কীভাবে আপনি বিচ্ছেদের সময়  খারাপ দৃশ্য তৈরি হওয়া এড়িয়ে চলতে পারেন।

ভাঙনটি হতে পারে চিঠি, এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে

এটি করো জন্য ভালো কাজ হতে পারে, আবার কারো জন্য কালবৈশাখি ঝড়ের মতো হতে পারে। তবে সম্পর্ক ভাঙার অবস্থায় যিনি নিজের মনের কথা বলতে পারেন না বা ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন না তার জন্য চিঠি লেখা, এসএমএস বা ই-মেইল করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তার অনুভূতির বিশদ বর্ণনা দিতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সম্পর্কচ্ছেদ এড়িয়ে চলতে হবে

ফেইসবুক, টুইটার বা এমন সামাজিক যোগাযোগর বিভিন্ন সাইটে আপনি যখন আপনার স্টেটাস, ছবি বা কোনো ধরনের কমেন্ট পোস্ট করেন; তখন ভাববেন না এসব শুধু আপনারা দুজনে দেখছেন। আগে যেমন সবাই দেখত, এখনো সবাই দেখছে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনাদের সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে পরিচিত, কম-পরিচিত, ছোট-বড় সবাই হাসাহাসি করুক। সেজন্য এসব বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এসব সাইট এড়িয়ে চলুন।

ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে এগোতে হবে 

সম্পর্ক ভাঙার সবচেয়ে ভালো পথ হলো ধীরে এবং দৃঢ়ভাবে এগোনো। এর অর্থ হলো সঙ্গীকে বোঝানো যে, আমাদের সম্পর্কটি আর আগের মতো কাজ করছে না। তবে এ ধারণার প্রতি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আপনার সঙ্গীকেও কিছু সময় দিতে হবে। তাহলে সম্পর্কচ্ছেদটি কারো জন্যই বড় ধরনের বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

সব অপরাধের দায় সঙ্গীর কাঁধে চাপাবেন না

যখন আপনি পুরোপুরিভাবে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন একতরফাভাবে সঙ্গীর ওপর দোষ চাপাবেন না। কথা বলা এবং চিন্তায় বাস্তববাদী হোন। তাকে বলুন এ সম্পর্কচ্ছেদটি আমাদের দুজনের জন্যই ভালো হবে। এবং এর জন্য আপনারা দুজনই কমবেশি দায়ী।


আকস্মিক বা খামখেয়ালিভাবে কাজটি করবেন না

সম্পর্ক ভাঙ্গার কাজটি অফিসে যাওয়া বা বাজার করার মতো গতানুগতিক কাজের মতো করবেন না। আপনার সঙ্গী এবং আপনাদের সম্পর্ককে সম্মান করুন। পরিকল্পনা করুন কীভাবে আরো সামনে আগানো যায়।

মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না

যদি আপনার সঙ্গী খুব আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন, তবু আপনি তার সঙ্গে কোনো মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না। ‘আমি এ বিষয়ে আবার চিন্তা করব’; ‘আমরা হয়তো আবার কোনো একদিন আগের সম্পর্কে ফিরে যাব’- এ ধরনের কথা আপনি নিজে বিশ্বাস না করলে তাকে বলবেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য কী।

অধিকাংশ সম্পর্কই মানুষ কিছু গড়ার জন্য করেন, ভাঙার জন্য নয়। তারপরও কখনো কখনো আমাদের জীবনে ভাঙন আসে। এটি অনেক সময়ই অনাকাক্সিক্ষত। কিন্তু অনেক সময়ই বিচ্ছেদ মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তাই এটি যত ভালোভাবে করা যায়, ততই কল্যাণকর হবে আপনারপক্ষে ।

খুব খারাপভাবে সম্পর্ক ভাঙবেন না কী ভাবে ভাঙ্গা যাই জেনে নিন? খুব খারাপভাবে সম্পর্ক ভাঙবেন না কী ভাবে ভাঙ্গা যাই জেনে নিন?    Reviewed by Unknown on 3:46 AM Rating: 5

আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়?

3:23 AM

আত্মহত্যা নিজের প্রতি অবমাননাকর একটি শব্দ। অনেকের মতে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য কাজ। প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য প্রতিটি দেশের সরকার এবং নানা বেসরকারি সংস্থা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

আত্মহত্যা নিজের প্রতি অবমাননাকর একটি শব্দ। অনেকের মতে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য কাজ। প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য প্রতিটি দেশের সরকার এবং নানা বেসরকারি সংস্থা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ইতোপূর্বে যেমন ঘটেছে, এখনও ঘটছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা আমাদের দেশে বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে আবার গ্রামের মেয়েরা শহরের মেয়েদের তুলনায় এই দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।

বিবাহিত মেয়েদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রে অনেক সময় খবর রটেছে যে, তাতে পরিবার কিংবা স্বামীর ইন্ধন বা প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আত্মহত্যার ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। আগে মেয়েদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই ইভ টিজিং, যৌতুকের চাপ, অভাব, হতাশা, পারিবারিক কিংবা সামাজিক নির্যাতনের মতো ঘটনায় আত্মহত্যার পথে এগোত। হয়তো তারা ভাবত এটাই মুক্তির একমাত্র পথ। আর ছেলেদের বেলায় প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, নেশাগ্রস্ততা কিংবা জীবনের দায়ভার নেওয়ার সাহস না থাকাটাই হয়ে দাঁড়াত আত্মহত্যার কারণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা শুনেছি তিন গৃহবধূর সন্তান-সন্ততিসহ আত্মহত্যার ঘটনা। কেউ কেউ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কিছু খবর আমরা পাই, কিন্তু অনেকাংশই থেকে যায় গোপন। এই অল্প পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই উদ্বিগ্ন হতে হয়, সমাজ আজ কোন পথে চলছে? এর থেকে বের হওয়ার উপায় কি? আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায়?

 ‘আত্মহত্যার এই সামাজিক ব্যাধি শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। মানুষ হিসেবে নিজেকে জানতে হবে। সামাজিক দায়িত্ববোধ, পারিবারিক দায়িত্ববোধ, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনগুলো যথার্থভাবে মেনে চললেই অনেকাংশে এটা রোধ করা সম্ভব। মানুষ হিসেবে কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, যদি উপলব্ধি করেন সমাজ কিংবা পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য, তবে তার পক্ষে আত্মহত্যা সম্ভব নয়।’

ইদানীং সন্তানসহ মায়েদের আত্মহত্যার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে , ‘পারিবারিক অশান্তি, দাম্পত্য কলহ কিংবা অন্যান্য কারণে স্ত্রীরা স্বামী বা তার পরিবারের কিংবা উভয়ের ওপর ওপর জমা রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, অপ্রাপ্তি, সব কিছুই শিশু সন্তানদের সাথে শেয়ার করেন। তখন ওই শিশুরা বাবা ও সংশ্লিষ্ট সব আত্মীয়দের ওপর বিরূপ এক ধারণা নিয়ে বড় হতে থাকে। আবার মা চিন্তা করে তার মৃত্যুর পর সন্তানের কী হবে?  এক পর্যায়ে মায়ের সাথে সাথে এই শিশুরাও জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
 ‘আত্মহত্যা হুট করে হয় না। অনেক পরিকল্পনা করে এগোতে হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ যদি একটু খেয়াল করে তাহলে তারা সমস্যাগুলো বুঝতে পারে। এ অবস্থায় যদি তারা উদ্যোগী হয় তাহলে বিষয়টি তখন পারিবারিকভাবে সমাধান না করা গেলেও আইনের মাধ্যমে একটা মীমাংসা করা সম্ভব হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গৃহবধূদের বাবা-মায়েরা তখন বিষয়টি আমলে নেন না, আবার কখনো কখনো নিজেরাই মেয়ের মনকে বিষিয়ে তোলেন। এভাবে তারা নিজেদের দায়ত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে শেষে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নিতে ছুটে যান। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে মেয়ের পরিবারের সদস্যদের দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ সংশ্লিষ্ট আইনে থাকা উচিত।’

 ‘এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের অনেক ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। যৌতুক, গৃহনির্যাতন, বহুবিবাহ সম্পর্কিত খবর ও এগুলোর কুফলের পাশাপাশি আত্মহত্যার পথে না গিয়ে বিকল্প পথে জীবন গঠনের উপায় নিয়ে বেশি বেশি সংবাদ প্রকাশিত হওয়া দরকার। তাহলে তা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে।’
কারন একটা জীবন কিছু ভুল ,এবং মানসিক অত্যাচারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়? আত্মহত্যা থেকে মুক্তির উপায়? Reviewed by Unknown on 3:23 AM Rating: 5

জেনে নিন জামের গুণাগুণ এবং প্রয়োজনীয়তা?

3:06 AM

পাকা জাম
ফলের মৌসুমে আমরা শুধু আম, কাঠাল বা লিচু খাওয়ার কথা বলি। কিন্তু কালো ছোট একটি পুষ্টিকর ফল যে চোখের ‍আড়ালেই থেকে যায় অনেক সময়। বলছি জামের কথা।

পাকা জামের পুষ্টির কথা জানলে সত্যি অবাক হতে হয়। যদিও খুব বেশি কদর পায়না ফলটি আমাদের কাছে। এবার থেকে নিশ্চয় পাবে, জেনে নিন গুণগুলো:

•    আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জাম খেলে রক্তশূন্যতা ও হাড়ক্ষয় রোগ দূর হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।


•    মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত ও মাড়ি শক্ত ও মজবুত করে। বিভিন্ন ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।

•    হজমশক্তি বাড়ায়, ঠাণ্ডা এবং অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়।


•    হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরল ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে।  ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।


•    ত্বক ভাল রাখে, ত্বকের ব্রণ ও কালো ছোপ দূর হয়। দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখে। এই সমস্যার সমাধান হলে আমাদের শরীর ও মন ভালো থাকে।

জেনে নিন জামের গুণাগুণ এবং প্রয়োজনীয়তা? জেনে নিন জামের গুণাগুণ এবং প্রয়োজনীয়তা? Reviewed by Unknown on 3:06 AM Rating: 5

সঙ্গে রাখুন ?

10:13 PM


হাত ব্যাগে যেগুলো নিতে ভুলবেন না
গরমে ঈদ হচ্ছে প্রতিদিনই সবাই বাইরে বের হচ্ছেন, কেউ কেনাকাটা করতে কেউবা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। বাইরে বের হওয়ার সময় খেয়াল করে হাত ব্যাগে কয়েকটি জিনিস নিয়ে নিন, যাত্রায় কষ্ট কমে যাবে আর প্রয়োজনে কাজেও দেবে।

হাত ব্যাগে যেগুলো নিতে ভুলবেন না: 

পানি 
গরমে যেকোনো সময় অসুস্থবোধ করতে পারেন। হাতের কাছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে। অবশ্যই ছোট একটি বোতলে খাওয়ার পানি নিয়ে নিন। আরও ভালো হয় যদি স্যালাইন পানি বা লেবু পানি নিয়ে নিন।

ছাতা-ক্যাপ বা স্কার্ফ 
বৃষ্টির সময় রাস্তায় থাকলে ভিজতে হবে, ছোট-হালকা ওজনের একটি ফোল্ডিং ছাতা রেখে দিন ব্যাগে। ‍আর রোদ থেকে বাঁচতে ক্যাপ বা স্কার্ফ রাখুন।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার
বাইরে অনেক বেশি জীবাণু থাকে। সব সময় হাত সাবান দিয়ে ধোয়া সম্ভব হয়না। ব্যাগে ছোট একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল রাখুন। সুস্থ থাকবেন।

পারফিউম/বডি স্প্রে
গরমে ঘেমে শরীর থেকে অনেক সময় দুগর্ন্ধ হতে পারে, যা নিজের কাছেই অস্বস্তি লাগে। ব্যাগে ছোট একটি পারফিউম ‍বা বডি স্প্রে রাখুন, প্রয়োজনে স্প্রে করে নিন।

এছাড়াও আইডি কার্ড, টাকা, মোবাইল ফোন, চার্জার, কিছু প্রশাধন সামগ্রী, ঘরের চাবি অবশ্যই সঙ্গে রাখুন।
সঙ্গে রাখুন ? সঙ্গে রাখুন ? Reviewed by Unknown on 10:13 PM Rating: 5

রাগ নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি উপায়?

9:55 PM


রাগ নিয়ন্ত্রণ
আমরা অনেক সময়ই হুট করে রেগে যাই। আর রেগে গিয়ে এমন কিছু প্রিয় কাউকেই হয়ত বলে দেই, যার জন্য সে প্রস্তুত ছিলনা। আমাদের এধরনের আচরণে অন্যরা কষ্ট পায়। এজন্য পরে হয়ত অনুতপ্ত হয়ে থাকি, কিন্তু সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। এই ধরনের অবস্থায় সাধারণত আমাদের মাথা সঠিকভাবে কাজ করে না।

যাই হোক রাগ তো সবারই হয়, এমন সময় রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু রাগকে কন্ট্রোলে রাখার কিছু পন্থাও জেনে রাখতে হবে। জেনে নিন এমনই কিছু উপায়:

আগে ভাবুন 
অনেক সময়ই কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার হয়ে যাওয়ার পরে মন খারাপ হয়। এরচেয়ে ভালো হয় যদি কিছু বলার আগে একটু ভেবে নেই। যেই কথা না বললেও চলে তা নাই বা বললেন।

শান্ত হয়ে, রাগ প্রকাশ 
রাগ পুষে না রেখে প্রকাশ করাই ভালো পথ মনে করেন অনেকে। এজন্য প্রথমে শান্ত হতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা মাথায় রাগের কারণ নিয়ে আলোচনা করেত হবে।

কিছু ব্যায়াম 
হালকা কিছু ঘাড়ের ব্যায়াম, একটু দ্রুত হাটা, এমন কিছু ব্যায়াম করলে রাগ কমতে থাকে। শ্বাস নিন এবং সেটি আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। এইভাবে কয়েকবার করুন, মন শান্ত হবে।

ক্ষমা
ক্ষমা করতে শিখুন। রাগ কমলে নিজের ব্যবহার নিয়েও খুঁটিয়ে ভাবুন। সবাই সব সময় আমার মতোই ভাববে এতটাও আশা করা বোধহয় ঠিক নয়, তাইনা?

মনোযোগ 
যদি দেখা যায় অনেক বেশি রাগ হয়েছে তখন যে কারণে রাগ উঠছে সেই কারণ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিন। অন্য কাজে ব্যস্ত হতে চেষ্টা করুন।

শেয়ার করুন 
কোনো কারণে রাগ বা মন খারাপ হলে কাছের কাউকে বিষয়টি জানান। তিনি হয়ত কোনো ভালো পথ বাতলে দিতে পারেন, এতে আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহজ হবে।


নিয়মিত যদি খুব বেশি রাগ হতে থাকে, আর তার প্রকাশ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
রাগ নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি উপায়? রাগ নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি উপায়? Reviewed by Unknown on 9:55 PM Rating: 5

হবু মায়ের জন্য উপহার ?

9:44 PM
হবু মায়ের জন্য উপহার 
হবু বাবা, প্রিয় সঙ্গী আপনাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার এনে দিচ্ছেন, তার চারপাশ ভাললাগা ও ভালবাসায় ভরে রাখার দায়িত্ব তো আপনারই।

আমরা শিশুর জন্মের আগে আগ্রহ নিয়ে ‍তার জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু যে মা দীর্ঘ দিন কষ্ট করে শিশুর জন্ম দিচ্ছেন তার জন্য কমই ভাবি। আবার অনেকেই ভেবে পাননা, প্রিয় মানুষটি কী উপহার দেয়া যায় এই বিশেষ সময়টিতে। সন্তান জন্মের আগে শেষের দিকের সময়গুলো প্রতিটি মুহূর্তই মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়, শরীরও তেমন ভাল থাকে না।  

তার মন ভাল করে দিতে উপহার হিসেবে দিতে পারেন: 

•    এতো দারুণ একটি উপহারের জন্য স্ত্রীকে দিতে পারেন একটি ধন্যবাদ লেখা কার্ড, সেখানে যোগ করতে পারেন মনের না বলা কথা, কবিতা বা প্রিয় কোনো উক্তি
•    তার পছন্দের পোশাক দিতে পারেন
•    দেয়া যায় মেকআপ কিট, কারণ মায়েরা এই সময়ে নিজের চেহারা নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকে, মেকআপ উপহার পেলে সে নিশ্চয় খুশি হবে
•    সঙ্গে দিন তার পছন্দের পারফিউম
•    হালকা গয়না সব মেয়েরই পছন্দ, ছোট চেইন, চুড়ি বা ছোট্ট এক জোড়া কানের দুল উপহার পেলে আপনার স্ত্রী এতো খুশি হবেন যে, দামটা তখন নিতান্তই কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে
•    শিশু জন্মের দিন যখন খুব কাছে চলে আসবে, তখন সেই দিন থেকে ৪-৫ মাস পরের একটা তারিখে কোথাও যাওয়ার প্লান করুন
•    সারপ্রাইজ দিন হোটেল বুকিং-আর যে যানবাহনে যাবেন তার অগ্রিম টিকিট দিয়ে
•    এতে করে প্রিয় মানুষটি বুঝতে পারবে আপনার জীবনে তার গুরুত্ব কতখানি।

দু’জন মিলেই অপেক্ষা করুন প্রিয় সন্তানের জন্য। আর প্রেগনেন্সির পুরো সময়টা স্ত্রীকে মানসিক সার্পোট দিন, যত্ন নিন। সময়টা উপভোগ্য করে তুলুন।
হবু মায়ের জন্য উপহার ? হবু মায়ের জন্য উপহার ? Reviewed by Unknown on 9:44 PM Rating: 5

কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হযেছে কী না?

9:34 PM


ডায়াবেটিসের লক্ষণ
আজকাল অনেককেই শোনা যায়, ডায়াবেটিস হয়েছে। এটা হলে আমাদের জীবন-যাপনের বেশ পরিবর্তন ঘটে। তবে বেশিভাগ সময়ই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে বেশ দেরিতে, যখন দেখা যায়, শুধু ডায়াবেটিস নয়, শরীরে প্রেশারও অনেক বেশি, কোলেস্টেরল লেভেল চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

নীরবে আমাদের শরীরেই বেশি কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেগুলো আমরা নোটিসই করিনা অনেকে। অথচ ডায়াবেটিসের লক্ষণ এগুলো। আগেই যদি লক্ষ্য করা যায়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, খুব সহজেই শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি।  

জেনে নিন কখন যাবেন চিকৎসকের কাছে: 

অতিরিক্ত ক্ষুধা  
খাওয়ার পরই দেখা যায়, আবার ক্ষুধা অনুভব করছেন। আসলে যখন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্তি খাদ্যের প্রয়োজন হয়।

ক্লান্ত লাগে 

ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয় যায়। ঘুম পায়, কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়।

গলা শুকিয়ে যায়

একটু পরপরই পানির তেষ্টা পায়, আর বারবার মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন বোধ হয়। এটাই ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন অনেকে।

ওজন কমে 
অনেকেই খুশি হন এই ভেবে যে, অনেক চেষ্টা করেও যখন ওজন কমানো যায়নি। আর এখন এমনিতেই ওজন কমে স্লিম হয়ে যাচ্ছে। সত্যিটা হচ্ছে, ডায়াবেটিস যখন শরীরে বাসাবাঁধে, তখন ওজন কমে যায়।

দৃষ্টি 

দীর্ঘদিন হাই ব্লাড সুগার থাকলে চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে।

ইনফেকশন

ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয়, আর যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারতে অনেক বেশি সময় নেয়।

শরীরে এর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকুন।
কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হযেছে কী না? কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হযেছে কী না? Reviewed by Unknown on 9:34 PM Rating: 5

ডায়াবেটিস: আদ্যোপান্ত হযে গেছে

9:17 PM


ডায়াবেটিস
যদি পরিবারে বাবা-মা কারও ডায়াবেটিস থাকে, তবে বয়স ত্রিশ পেরোলেই সচেতন হতে হবে। দেশের প্রায় দেড় কোটি লোকের ডায়াবেটিস রয়েছে। তবে এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ডায়াবেটিসকে রোগ হিসেবে না দেখে একে জীবনযাত্রায় আরও নিয়মানুবর্তী ও শৃঙ্খলা মেনে চলার ‍অভ্যাস বলা যায়।

ডায়াবেটিস কতো তে...
খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি হলে এবং খাবার ২ ঘণ্টা পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ১১.১ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

টাইপ
ডায়াবেটিস মূলত ২ ধরনের। টাইপ-১ বা ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস যা ইনসুলিন উত্পাদন কম হলে বা না হলে দেখা দেয়। টাইপ-২ বা নন ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস যা ইনসুলিন ঠিকমত কাজ না করলে বা উত্পাদন অনুপাতে রোগীর শরীরের ওজন বেশি হলে দেখা দেয়।

হাঁটা
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সুবিধামতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৪৫ মিনিট একটু বেশি গতিতে হাঁটতে হবে।

খাবার

দই
এতে ক্যালোরি কম থাকে। ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে দেয় না।

শিম
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শুকনো শিম খাওয়া উচিৎ। অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত ক্যানজাত শিম নয়। শিমে গ্লুকোজ উপাদান কম থাকে। ফলে এটি যে কোনো শ্বেতসার জাতীয় খাবারের চেয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অনেক বেশি। শিমে উচ্চহারে আঁশ থাকে। ফলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে রাখে।


বেরি
বেরিজাতীয় ফলগুলোতেও গ্লুকোজ উপাদান কম থাকে। বেরিতে আছে ফ্রু্ক্টোজ যা হজমের জন্য ইনসুলিন দরকার হয় না।

লাল চাল/লাল আটা
সাদা  আটা, সাদা চালের ভাত-রুটি রক্তে সুগারর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেতে তাই লাল আটাও লাল চালের ভাত-রুটি খেতে হবে।

আপেল
নিয়মিত একটি আপেল খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। যারা প্রতিদিন আপেল খান তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৭%।

খেজুর
অনেক মিষ্টি কিন্তু খেজুর খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বে না।

বাদাম
প্রতিদিন যেকোনো ধরনের নিজের হাতের একমুঠ পরিমাণ বাদাম খাওয়ার অভ্যেস করুন।
সবজি
কম চর্বি এবং উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন-মটরশুঁটি, টমেটো, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন নিয়মিত খেতে হবে।

সবুজ শাক
প্রতিদিনের খাবারে যেকোনো একটি শাক রাখুন।

ওটস
ওটসের তৈরি যে কোন ধরনের খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কাজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনের ডায়েটে এ খাবারটিও রাখুন।

মাংস
ডায়াবেটিস রেড মিটকে(লাল মাংস) রেড কার্ড দেখান। মুরগির মাংস একপিস, পরিমিত মাছ আর দিনে ‍একটি ডিম খেতে পারেন।

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়েও দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব।

ডায়াবেটিস: আদ্যোপান্ত হযে গেছে ডায়াবেটিস: আদ্যোপান্ত হযে গেছে Reviewed by Unknown on 9:17 PM Rating: 5

অভিমান ভুলে

9:03 PM

অভিমান ভুলে
জীবন চলার পথে প্রিয় মানুষের সঙ্গ সব থেকে বেশি প্রয়োজন। দু’জন মানুষের স্বপ্ন এক হয়ে পথচলা শুরু হয়, চলতে চলতে অনেক সময়ই এমন কিছু বিষয় সামনে আসে, যা হয়ত প্রিয় মানুষটির কাছে আশা করা যায় না।

তবুও এমন সময়ে নিজেকে সামলে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। যার প্রতি ভালোবাসা অনেক বেশি থাকে, অভিমানটাও তার প্রতিই বেশি আমাদের।

প্রিয়জনের মান ভাঙানোর দায়িত্বটাও তাই সঙ্গীটির ওপরই পরে। যদি কোনো ভুল হয়েই যায়, তো নিজেদের সম্পর্কটিকে সুন্দর রাখতে যা করতে হবে:

•    দিনের শুরু করুন এককাপ চায়ে, সন্ধ্যায় চাই একমগ ধোঁয়া ওঠা কফি। নিজের হাতে তৈরি চা- কফির সঙ্গী করুন প্রিয় সঙ্গীকে।
•    সুখী জীবনের গোপন সূত্র, দিনে গুনে গুনে ১০বার ‘ভালোবাসি’ বলুন
•    সম্পর্কের শীতলতা দূর করতে নিজের ভুল মেনে নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে
•    সরাসরি ‘সরি’ বলতে না চাইলে, সঙ্গীর প্রিয় ফ্লেভারের কেকে বড় করে ‘সরি’ লিখে দিন
•    সঙ্গী রাগ দেখাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে জবাব না দিয়ে, একটু সময় নিন
•    রাগটা কমলে আপনার দিকটা বুঝিয়ে বলুন, আর তার রাগের কারণও জানার চেষ্টা করুন
•    কথায়-কথায় কথা বন্ধ, এটা কোনো সমস্যার সমাধান নয়
•    প্রিয় মানুষের অভিমান ভাঙাতে একটু নাটকীয়তা হতেই পারে।
•    একটি ছোট্ট গিফট, ‍অথবা দু’জন শপিং-এ যাওয়া একসঙ্গে, এগুলোও সম্পর্ক সুন্দর ও স্থায়ী করতে সাহায্য করে।
•    সঙ্গীর মতামতের গুরুত্ব ও তাকে সম্মান দিন।

একসঙ্গে থাকলে মনোমালিন্য হতেই পারে। কিন্তু তা ধরে রেখে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ানো ঠিক নয়, দুজনকেই উদ্যোগী হতে হবে সু-সম্পর্ক রক্ষায়।
অভিমান ভুলে অভিমান ভুলে Reviewed by Unknown on 9:03 PM Rating: 5

বিয়ের আগেই জানিয়ে দিন?

3:49 AM

বিয়ের আগেই জানিয়ে দিন
বিয়ে, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের একটি। জীবন জার্নিতে সঠিক জীবনসঙ্গী পাওয়াটা সত্যি ভাগ্যের বিষয়। বিয়ের নিয়ে সবার মনেই অনেক স্বপ্ন থাকে, থাকে কিছু শঙ্কাও। যারা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন অথবা বিয়ের কথা ভাবছেন, বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই কয়েকটি বিষয় জেনে নিন, আর এসব বিষয়ে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিন।

বিয়ের দিন থেকেই আসলে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু। দু’টি মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও অনেক দায়িত্ব, যা কিনা সামলে নিতে হয়, দুজন মিলেই। বিয়ের আগে যে কথাগুলো বলে নেবেন:

আর্থিক অবস্থা 
আমাদের সবার অর্থনৈতিক অবস্থা এক হবেনা, তবে নতুন যে মানুষটি আপনার জীবনসঙ্গী হবেন, তাকে কিন্তু আপনার সঠিক অবস্থাটাই জানাতে হবে। যেমন আপনার মাসিক ইনকাম কত, সেই ‍অর্থ আয়ের পথ কী, খরচ হয় কেমন, কোনো সেভিংস রয়েছে কিনা। অথবা এই টাকা থেকে সামনে কীভাবে সংসার চালিয়ে নিতে হবে। সঙ্গীর যদি এই বিষয়ে ধারণা থাকে, তবে সে আকাশ-কুসুম চিন্তা না করে নতুন জীবনে এসে নিজের চাহিদাও সেই অনুযায়ী রাখবেন। যদি সঙ্গীর বিষয়টি জানা না থাকে, তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান তৈরি হবে। আর এটি আপনাদের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলবে প্রতিদিনই।

সন্তান
বিয়ের আগেই বাচ্চার বিষয়ে কথা বলতে আনইজি লাগছে? কিন্তু এটা জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মনে করুন আপনি ‍একজন স্টুডেন্ট হয়তো অর্নাস শেষের দিকে। পরিবার থেকে প্রতিষ্ঠিত ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা হচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবার বিয়ের পরদিন থেকেই বাচ্চার বিষয়ে আপনাকে চাপ দিলেন, অথচ সময় পেলে আপনার পড়াশোনাটা গুছিয়ে নিতে পারতেন। হয়ত একটা ভালো জবও হতে পারত। কী করবেন তখন? নিজেদের মধ্যে অশান্তি শুরু হবে। তার চেয়ে বরং আগেই আপনার বিষয়টি বলে নিলে ভালো, যে এখন আপনি পড়াটা শেষ করে এরপর একটা জবে জয়েন করতে চান। নতুন সংসারের সবার সঙ্গে খুব ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করতেও তো সময় প্রয়োজন। আর দুইটা বছর দু’জন অনেক ঘুরে জীবনটা উপভোগ করতে চান, এরপর সময় করে দু’জন মিলেই বাচ্চার সিদ্ধান্ত নেবেন।


একক না যৌথ 
আপনার সবার সঙ্গে থাকতে ভালো লাগে, না একা, আর আপনার সঙ্গীর? বিয়ের আগে অবশ্যই এটি ক্লিয়ার করে নিন। আপনারা কেমন পরিবারে থাকবেন। কাজের প্রয়োজনে দু’জন মিলে ছোট সংসার করবেন, না সবার সঙ্গে যৌথ পরিবারে থাবতে হবে। যদি যৌথ পরিবারে থাকতে হয়, তবে আপনাকেই পুরো পরিবার সম্পর্কে একটি ধারণা আগেই সঙ্গীকে দিয়ে দিতে হবে। কার সঙ্গে কীভাবে মিশতে হবে, পরিবারে কার কি দায়িত্ব পালন করতে হয়, আপনার পরিবারে বিশেষ করে মেয়েদের জন্য কি ধরনের সুযোগ রয়েছে। কোন ধরনের পোশাক বাড়ির অন্য বউরা পরেন এটাও বলে রাখুন। যিনি আপনার জীবনসঙ্গী হয়ে আসবেন, তার আপনার পরিবার সম্পর্কে যত ভালো ধারণা থাকবে, নতুন সংসারে এসে সবার মন জয় করাটাও ততটাই সহজ হবে।

সব কিছু জেনে-বুঝেই দু’জন আলাদা মানুষ সারা জীবনের জন্য এক হয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিন। অবশ্যই সঠিক কথাগুলো বা অবস্থাটাই তুলে ধরবেন, কারণ দু’দিন পরই সঙ্গী নিজেই সব দেখতে পাবেন। তখন যেন আপনার সম্পর্কে তার শ্রদ্ধাবোধ আরও বেড়ে যায়।

বিয়ের আগেই জানিয়ে দিন? বিয়ের আগেই জানিয়ে দিন? Reviewed by Unknown on 3:49 AM Rating: 5

চুলের আগা ফেটে যায

3:12 AM

চুলের যত্ন
চুলের আগা ফেটে যাওয়া, রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে, চুলের যত্নে নিয়মিত যে কাজগুলো করতে হবে।

সপ্তাহে তিন বার রাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে, সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। অনেকেই বেশি শ্যাম্পু করতে চান না। তাদের মনে রাখতে হবে, চুলের জন্য শ্যাম্পু নয়, ক্ষতিকর হচ্ছে ময়লা।

আগা ফেটে গেলে আগে ট্রিম করিয়ে তারপর যত্ন নিন।

ধুলো-ময়লায় অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মেথি পেস্ট মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। চুল ঘন ও উজ্জ্বল থাকবে।

দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো কোম্পানির কন্ডিশনার লাগান।

চুলের জন্যে জোজোবা অয়েল খুব উপকারী। নিয়মিত চুলের ডগায় জোজোবা অয়েল লাগালে চুল নরম হয়। বড় কসমেটিক স্টোরে জোজোবা ওয়েল পাওয়া যায়।

বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখুন। বাইরের রোদ ময়লা থেকে অনেক খানি রক্ষা পাবেন। তবে বেশি টাইট করে চুল বাঁধবেন না। খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।

গরমে তাপমাত্রা বাড়লে মাথার তালুও ঘামতে শরু করে। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন।

তারপর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে শুকিয়ে নিন।প্রতিদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন। এভাবে নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে দেখবেন গরমেও আপনার চুল থাকবে প্রাণোবন্ত ঝলমলে।

চুলে যতটা সম্ভব হিট দেওয়া, আয়রন করা এবং কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্যের কম ব্যবহার করুন।

চেষ্টা করুন সপ্তাহে একদিন চুলের বাড়তি একটু যত্ন নিতে
টক দই চুলের জন্য খুব ভালো। সঙ্গে একটি ডিম ও একটি লেবুর রস মিলিয়ে চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।

যদি চুল পড়া শুরু হয়, তাহলে মেহেদি, পেঁয়াজের রস ও টক দই লাগান। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

চুলের পরিচর্যার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত ও কম তেল-মসলাদার খাবারের দিকে নজর দিন।
চুলের আগা ফেটে যায চুলের আগা ফেটে যায Reviewed by Unknown on 3:12 AM Rating: 5

ঈদ প্রস্তুতি, হবে লুক চেঞ্জ

3:20 AM


ত্বকের যত্ন
ত্বকের যত্ন
বছরে মাত্র দু’টি ঈদ। বিশেষ এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়, পুরো বছর। ঈদের দিনে নিজেকে সব থেকে সুন্দর লুকে সবাই দেখতে চাই। কিন্তু অযত্নে থাকা ত্বক শুধু মেকআপ দিলেই সৌন্দর্য ফুটে ওঠেনা। প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্ন। 
ঈদের বাকি মাত্র 2’দিন। জেনে নিন এই অল্প সময়ে ত্বক-চুলের যত্নে কী করবেন: 

ত্বক 
সপ্তাহে ৩ দিন ২ চা চামচ বেসন, ২চা চামচ ময়দা, ২চা চামচ বাদাম তেল, ২ চা চামচ গোলাপ পানি মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। ‍
পেডিকিওর-মেনিকিওর 
হাত-পায়ের নখগুলো পছন্দমতো শেপে কেটে নিন। তারপর নখে ক্রিম লাগিয়ে নিন। একটি পাত্রে গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত ও পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর তোয়ালে দিয়ে হাত ও পা মুছে নিন।
নখে ক্রিম দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। সতর্কতার সঙ্গে নখের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে স্ক্র্যাব ঘষে মৃত কোষ তুলে ফেলুন । এরপর মুলতানি মাটি মধু এবং গোলাপ জলের পেস্ট তৈরি করে হাত পায়ে মেখে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। হাত-পা মুছে মশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে নিন।
চুল
ঈদের আগে একদিন মেহেদি, ডিম এবং টক দই দিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করতে হবে। 
এছাড়া চোখের কালো দাগ ও ক্লান্তিভাব দূর করে সতেজ প্রাণোচ্ছল দেখাতে, আলু বা শশা থেঁতো করে চোখের ওপর দিয়ে ২০ মিনিট শুয়ে থাকুন। ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ তুলায় নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আলতো করে ঘষে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

ত্বক সতেজ এবং সুন্দর রাখতে হলে আদ্রতা রক্ষা করতে হয়। ত্বকের সুস্থতায় প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। 

ঈদ প্রস্তুতি, হবে লুক চেঞ্জ ঈদ প্রস্তুতি, হবে লুক চেঞ্জ Reviewed by Unknown on 3:20 AM Rating: 5

জীবন হবে সহজ-উপভোগ্য?

2:36 AM

জীবন হবে সহজ-উপভোগ্য 
জীবন হবে সহজ-উপভোগ্য 
জীবন তো সহজই। আমরাই একে কঠিন করে ভাবি। প্রতিদিনের কিছু কাজ একটু গুছিয়ে করেই দেখুন সময় যেমন বাঁচবে, জীবনটাও অনেক সহজ ও সুন্দর মনে হবে। আর দেরি কেন, জেনে নিন: 
ঘুম 
রুম অন্ধকার করে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। অনেক সময় ঘুমানোর পরও সকালে ওঠার পরে মাথা ব্যথা হয়, সারাদিন ঝিমঝিম লাগে। বাতি নিভিয়ে ঘুমালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। 
গাড়ি 
হাঁটার সময় নাই, ব্যায়াম করার সময় নাই, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হয়। আমাদের অজুহাতের কোনো অভাব নেই। এদিকে থাকতে চাই একদম ফিট, স্লিম। তাহলে উপায়? গাড়িটা বাসার নিচে গ্যারেজে না রেখে একটু দূরে কোথাও পার্ক করার ব্যবস্থা করুন। বাসা থেকে বের হয়ে বাধ্য হয়েই পথটুকু হাঁটতে হবে, আর ফেরার সময়ও হাঁটাটা হয়েই যাবে। 
খাবার
সঙ্গে সব সময় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। অপ্রয়োজনে বাইরে খাওয়া বন্ধ করে দিন। নিজের কাছেই কমিটমেন্ট করুন, যেখানেই খাবেন প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করবেন। বাদাম, অন্য শুকনো ফল একটি সুন্দর কৌটায় রেখে দিন। ফল জুস না করে পিস করে খান। 
রান্না
প্রতিদিনের রান্নায় আমাদের অনেকটা সময় চলে যায়। সারাদিন পর বাড়ি ফিরে অনেকদিন রান্না করতে ইচ্ছে হয়না। আবার কোনো অসুস্থতার ফলেও রান্না করা হয়ে ওঠেনা। কর্মজীবীদের ঘরে অতিথি এলে অনেক সময় একসঙ্গে অনেক চাপ পড়ে রান্নার। এজন্য যখনই কিছু রান্না করবেন চেষ্টা করুন একটু বাড়িয়ে করতে। ছোট ছোট বক্সে ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন এক ভাগ খাবার। অনেকগুলো আইটেম জমে গেলে, সপ্তাহে একদিন রান্না না করে আগেরগুলো দিয়ে চালিয়ে নিন। আবার নতুন করে জমিয়ে রাখুন। 
কাজ করুন
বাড়ির সব কাজের জন্য সাহায্যকারীর ওপর নির্ভর না করে, কিছু কাজ নিজেই করুন।  বিভিন্ন টুকিটাকি কাজের মাধ্যমে শারীরিক অনুশীলন করা সম্ভব। এজন্য বাড়ি পরিষ্কার, জিনিসপত্র এদিক-ওদিক করা কিংবা রান্না করার কাজ করা যেতে পারে। এতে বাড়ির কাজও যেমন হবে তেমন আপনার শরীরও ফিট থাকবে।

এছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে বিছানাটা গুছিয়ে রাখুন। সারাদিন পরে বাড়ি ফিরে ঘর গোছানো দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে। 
সকালটা শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে, সারাদিন হাতের কাছে এক বোতল পানি রাখুন। 
প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করুন। সারাদিনে অন্তত একবার তাকে বোঝান যে আপনি তার জন্যই অপেক্ষায় থাকেন। যেকোনো শখ পূরণের জন্য টাকা জমান। টাকা জমিয়ে ছোট ছোট শখ পূরণে অনেক বেশি আনন্দ পাবেন। 
পরিস্থিতি যেমনই হোক, সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলুন। জীবনটাকে সহজ করে সুন্দরভাগে উপভোগ করুন। 

জীবন হবে সহজ-উপভোগ্য? জীবন হবে সহজ-উপভোগ্য? Reviewed by Unknown on 2:36 AM Rating: 5

মাত্র দুই কোয়া রসুন ?

4:13 AM
রসুন
রসুন
প্রায়ই আমরা রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেখি। কিন্তু কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি তা অনেক সময়ই মনে থাকেনা। এজন্য একবার চোখ বুলিয়ে জেনে নিন প্রতিদিন মাত্র দুই কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা। 

•    উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে
•    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
•    স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
•    রক্তনালী পরিষ্কার রাখে
•    ইনফেকশন দূর করে
•    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
•    দাঁতের ব্যথা বা বাতের ব্যথায় ভরসা রাখুন রসুনে  
•    হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
•    ত্বকের ব্রণ দূর করে, তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘ দিন
•    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় 
•    হাড়ক্ষয় রোধ করে 
•    ঠাণ্ডা, কাশি কমায়।

রসুন এত উপকারি, কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও রয়েছে। রসুন পুষ্টিকর কিন্তু এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। ২ কোয়া রসুন থেকে আমরা পাচ্ছি ৪২ ক্যালরি, ১.৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৯ গ্রাম শর্করা। 
রসুন কাঁচা খেতে পারলে তো খুব ভালো, না পরলে একটু টেলে নিয়ে বা হালকা তেলে রোস্ট করে নিন। সালাদের ড্রেসিং-এর সঙ্গেও রসুন মিলিয়ে খেতে পারেন। যেকোনো রান্নায় কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে দিন। রসুনের আচারও খেতে পারেন। 


মাত্র দুই কোয়া রসুন ? মাত্র দুই কোয়া রসুন ? Reviewed by Unknown on 4:13 AM Rating: 5

ফোন ছাড়া তার চলেই না!

3:33 AM

শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার
শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার
মাত্র ৬ মাসের শিশু মাহিম, তাকে দ্রুত খাওয়ানোর জন্য ফোনের কার্টুন ছেড়ে দিতে হয়। 
তিন বছরের মাইশা বাবা মা দু’জনই কাজে সারাদিন বাইরে থাকেন। মাইশার দেখা শোনা করেন একজন আয়া। মাইশার সারাদিনের সঙ্গীও সেই স্মার্টফোনের গেম।  
রোজার বয়স ছয়, সে স্কুল থেকে ফিরেই প্রথমে মায়ের ফোন নিয়ে বসে যায়। খাওয়া, গোসল বা পড়তে বসানোর একমাত্র শর্তই রোজার আগে তার হাতে ফোন দিতে হবে। 
মায়েরাও শুরুতে বাচ্চা কম ঝামেলা করবে ভেবে ফোন দিয়ে ব্যস্ত রাখতে চেয়েছেন শিশুদের। কিন্তু বাচ্চাদের একধনের আশক্তি তৈরি হয়ে যাওয়ায় এখন চাইছেন, এই অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে। 

স্মার্টফোন ব্যবহারে: 
•    শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়
•    মনোযোগ কমে যায়
•    দীর্ঘক্ষণ ফোনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের সমস্যা দেখা দেয়
•    শুয়ে বা বসে ফোন ব্যবহার করে, শারীরিক পরিশ্রম হয়না
•    ফলে ওজন বেড়ে যায়
•    ইন্টারনেটে আসক্ত শিশুদের মধ্যে আপত্তিকর অনেক বিষয়ের প্রতি আগ্রহ দেখা দিতে পারে
•    মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। 
স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করতে হবে: 
•    শিশুর হাতের কাছে ফোন রাখবেন না
•    তাকে সময় দিন
•    যখন শিশু আপনার সঙ্গে থাকবে তার প্রতি মনযোগ দিন
•    শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করুন
•    শিশুর সামনে আপনি দীর্ঘ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকবেন না
•    শিশুকে যদি ফোন হাতে দেনও ইন্টারনেট লাইন বন্ধ করে দিন
•    তার পছন্দের রাইম বা কার্টুন ডাউনলোড করে রাখুন
•    শিশু ফোন ব্যবহার করার সময় লক্ষ্য রাখুন
•    তার কোন বিষয়ে আগ্রহ এটাও খেয়াল করুন। 

আজকাল প্রযুক্তির যুগে শিশুদের হয়তো প্রযুক্তি পণ্য থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তবে ব্যবহারে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। 
ফোন ছাড়া তার চলেই না! ফোন ছাড়া তার চলেই না! Reviewed by Unknown on 3:33 AM Rating: 5

সে আর ভালোবাসে না

4:06 AM

ব্রেকআপ
ব্রেকআপ
শায়ান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ‍তার বয়স এখন ২৮, একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করেন। গত ছয় বছর ধরে নাফিসার সঙ্গে তার সম্পর্ক। নাফিসা একটি মেডিকেল কলেজে পড়েন, একবছরের মধ্যেই ডাক্তার হয়ে যাবেন। কথা ছিল নাফিসার পড়া শেষ হলেই নতুন জীবন শুরু করবেন তারা। 
কিন্তু কিছুদিন আগে নাফিসা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর শায়ানকে ভালোবাসেন না। এমনকি এই সম্পর্কও তিনি আর চালিয়ে যেতে আগ্রহী নন। 
শায়ান এই পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি প্রথমে ধর্য ধরে চেষ্টা করেন নাফিসার মন ভালো করতে। তাকে বোঝানোর জন্য সময় নিলেন। নাফিসাকে তার মতো করে ভাবতে দিলেন, কিন্তু কিছুতেই কাজ হলো না।
নাফিসা এখন আর শায়ানকে শুধু বন্ধুও ভাবতে পারছে না। আর সম্পর্কে ফেরার কোনো ইচ্ছাই তার নেই। এমন অবস্থায় শায়ান মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, তার ওপর দিয়ে চাপ যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। 
এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শায়ানকে যা করতে হবে: 
•    আরও একটু সময় দিয়ে দেখা যেতে পারে, ভালো হয় আপনি যোগাযোগ কমিয়ে দেন। হয়তো আপনাকে কাছে না পাওয়ার শূন্যতা অনুভব করবেন 
•    যেহেতু দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্ক অনেক ভালো সময় যেমন আপনারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন, তেমনি কষ্টের কোনো স্মৃতিও থাকতে পারে
•    নিজের আচরণ নিয়েও একটু ভাবুন। এতো দিনের একটি সম্পর্ক এভাবে কেন শেষ হচ্ছে, আপনার কোনো কারণে বা আচরণে কষ্ট পেয়ে নয়তো? 
•    যাই ঘটুক, সঙ্গীর বিশ্বাস নষ্ট করবেন না, রাগের বা প্রতিশোধের নেশায় এমন কিছু করবেন না, যাতে সে ছোট হয়ে যায়। আর অন্যরা আপনাকে প্রতারক ভাবে 
•    নিজেকে ব্যস্ত রাখুন কোনো সামাজিক কাজে 

•    বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। কোথাও ঘুরতে যান 

•    নিয়মিত ব্যায়াম করুন, মানসিক চাপ কমাতে ইয়োগা করতে পারেন। 
•    এখনই নতুন সম্পর্ক নয়। এতো দিনের একটি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে, অনেক সময়ই সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটা নতুন সম্পর্ক তৈরি করেন অনেকে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ভালো নাও হতে পারে। 

একটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানে জীবন শেষ নয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, সময় নিন। সঠিক-সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক অপেক্ষা করছে সামনে। তিনিই হয়তো আপনার সোলমেট।


সে আর ভালোবাসে না সে আর ভালোবাসে না Reviewed by Unknown on 4:06 AM Rating: 5

মশা তাড়াবেন কীভাবে জেনে নিন

5:00 AM

মশা তাড়াতে 
মশা তাড়াতে 
মশার যন্ত্রণা কোথায় নেই! ঘরে, স্কুলে, অফিসে, গাড়িতে, সন্ধ্যায় একটু হাঁটতে যাবেন সেই রাস্তায়ও মশা। ঘুমের সময় মশারি দিলেন। অন্য সময়ে মশার কামড় থেকে বাঁচতে এ্যারোসল বা  কয়েল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 
মশা তাড়াতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিই হতে পারে বেশ কার্যকর। ট্রাই করতে পারেন যেকোনোটি: 
•    নিম তেল শরীরে লাগিয়ে নিলে মশার কামড় থেকে রেহাই পাবেন।নিমের গন্ধে দূরে মশা থাকে। শুধু নিমপাতাও ঘরে রেখে দিতে পারেন, মশার উপদ্রব কমবে। 

•    ঘরে টবে কয়েকটি তুলসী গাছ লাগান রাখুন,  মশা পালাবে। 

•    মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। দু’দিন পর পানি পরিবর্তন করুন। 

•    একটি লেবু মাঝ থেকে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এবার ম্যাজিক দেখুন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে কোনো মশা নেই। 
•    এজন্য কয়েকটি রসুনের কোয়া থেতলে পানিতে সেদ্ধ করতে হবে। ওই পানি সারা ঘরে স্প্রে করে দিলেই মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
•    বৃষ্টির পানি জমে মশা জন্মে। বাড়ির কোথাও পানি জমে গেলে নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করুন। 
মশার কামড়ে শুধু যন্ত্রণাই হয়না, ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুও হয়, তাই সচেতন থেকে, মশার যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকুন। 

মশা তাড়াবেন কীভাবে জেনে নিন মশা তাড়াবেন কীভাবে জেনে নিন Reviewed by Unknown on 5:00 AM Rating: 5

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী প্রযোজন তা জেনে নিন

4:49 AM
দই
আজকাল একটুতেই অসুস্থ হয়ে যায় অনেকে। আবার সাধারণ একটু জ্বর-সর্দিও সহজে সারতে চায়না, বেশ কষ্ট দেয়। এর মূল কারণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।


ছোট বড় সবাই সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত কিছু খাবার খেতে হবে। যা খাবেন:
দই ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপুর্ণ উৎস। নিয়মিত খেলে শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ে। হজম শক্তির উন্নতি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
কালিজিরা
মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালিজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে  অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালিজিরা।  সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালিজিরার জুড়ি নেই। 
কালিজিরা ও মধু
মধু 

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। দ্রুত ক্ষত সারাতে সাধারণ জ্বর সর্দি-কাশিতে মধু ওষুধের মতোই কাজ করে।
আদা 
মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঠাণ্ডা লেগে কাশির চিকিৎসায় আদা ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা ক্যান্সারের মতো রোগও প্রতিরোধ করে। আদা-রসুন 
রসুন
আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় আদা-রসুন যেন চমৎকার জুটি। কোনো খাবারে আদা দেবেন আর রসুন দেবেননা, এটা কিন্তু খুব একটা দেখা যায়না। আদার মতোই রসুনেরও রয়েছে অনেক গুণ।  প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে চোখ ভাল থাকবে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বুঝতেই পারছেন, প্রতিদিনের খাবার থেকে আমরা সুস্থ থাকার উপাদানগুলো পেতে পারি। 
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী প্রযোজন তা জেনে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী প্রযোজন তা জেনে নিন Reviewed by Unknown on 4:49 AM Rating: 5

জীবনে যতো বড়ই সম্পর্ক থাকুক না কেনো বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক আর কোথাও নাই

3:52 AM
বন্ধুত্ব

জীবনে যত সম্পর্কই থাকনা কেন? বন্ধু ছাড়া আর কেই বা বোঝে গভীরে, অত ভালো করে। এই সম্পর্ক সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে। তাই মাঝে মধ্যে এই সম্পর্কটা নবায়ন করার প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় উদযাপনের। প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার সারা বিশ্বে বন্ধু দিবস পালন করা হয়। 
বন্ধুত্ব নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিরাও এমনই ভেবেছিলেন, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসেবল!  
নিয়তি তোমার আত্মীয় বেছে দেয়, আর তুমি বেছে নাও তোমার বন্ধু।
জ্যাক দেলিল [১৭৩৮- ১৮১৩], ফরাসী কবি
একজন বিশ্বাসী বন্ধু দশ হাজার আত্মীয়ের সমান।
ইউরিপিদিস [গ্রিক নাট্যকার]

বন্ধত্ব একমাত্র সিমেন্ট যা সবসময় পৃথিবীকে একত্র রাখতে পারবে।
উইড্রো উইলসন
যদি থাকে বন্ধুর মন গাং পাড় হইতে কতক্ষণ
জীবনানন্দ দাশ
বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে একটি গুপ্তধন পেলো।
- নিটসে
একটি ভালো বই একশ জন বন্ধুর সমান । কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান ।
- ডক্টর এ.পি.জে আব্দুল কালাম
অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা আলোতে একা হাঁটার চেয়ে ভালো
- হেলেন কেলার 
দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে, কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।
মার্ক টোয়েন
কখনো কোনো বন্ধুকে আঘাত করো না, এমনকি ঠাট্টা করেও না।
সিসেরো
কোনো মানুষই অপ্রয়োজনীয় নয় যতোক্ষণ তার একটিও বন্ধু আছে।
রবার্ট লুই স্টিভেন্স

সর্বোৎকৃষ্ট আয়না হলো একজন পুরনো বন্ধু।
জীবনে যতো বড়ই সম্পর্ক থাকুক না কেনো বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক আর কোথাও নাই জীবনে যতো বড়ই সম্পর্ক থাকুক না কেনো বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক আর কোথাও নাই Reviewed by Unknown on 3:52 AM Rating: 5

অসহায় দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন

3:59 AM
একদিন এক ভিক্ষুক রাস্তা দিয়ে
যাচ্ছিল। হঠাৎ তার
ভীষণ ক্ষুধা পেল । সে কিছুদূর যাবার পর
বিশাল
গেটওয়ালা একটা বাড়ি দেখতে পেল
মনে
মনে খুব খুশী হল এই ভেবে যে ,
বড়োলোকের বাড়ী আজকে একটু মজার
কিছু
খেতে পারবে । ভাবতে ভাবতে সে
বাড়ির
দারওয়ানকে বলল, সে অনেক ক্ষুধার্ত
কিছু
খেতে দিবে দারওয়ান বলল, ঠিক
আছে তুমি
বাহিরে বস। আমি মেমসাবকে
জিজ্ঞাসা করে আসি
ভিক্ষুক বলল ঠিক আছে ভাই । যখন
দারওয়ান
ভেতরে গেল, ভিক্ষুক দেখল একটা বড়
সুন্দর
খাঁচার ভেতর খুব সুন্দর একটা কুকুর
তার সামনে একটা প্লেটে অনেক
মাংস দিয়ে রাখা
হয়েছে। সে দেখে মনে মনে আরও খুশী
হল । ভিক্ষুক মনে মনে ভাবল, কুকুরকে
এতো
মাংস দিছে তাহলে তো আমাকেও
অনেক
ভালো খাবার দিবে। এদিকে
দারওয়ান যখন
গৃহকর্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষুককে
খাবার দিবার
কথা বলল, তখন গৃহকর্ত্রী তার উপর রেগে
গিয়ে বলল, খাবার কি আকাশ থেকে পড়ে যে চাইলেই খাবার দিতে হবে ? তোর কাজ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা, তুই এই খানে কেন এলি ? আর যদি এই ভাবে কাজ ফেলে আসবি তাহলে বিদায় করে
দেব । সামান্য একটু খাবার চাইতে
এসে এত কথা
শুনতে হল তাকে। দারোয়ান মনে মনে
খুব
কষ্ট পেল । এই ভেবে আরও দুঃখ হচ্ছিল
তা্র,
ভিক্ষুকটা ক্ষুধা পেটে বসে আছে,
কিভাবে
তাকে গিয়ে বলবে, এত বড় বাড়ি
দেখলে কি
হবে তোমাকে একবেলা খাওয়ানোর
মতন খাবার
তাদের নেই । ভাবতে ভাবতে সে
ভিক্ষুকের
কাছে আসলো এবং বলল, ভাই ওনারা
ধনী মানুষ
তো, খাবার কম খায় শরীর ভাল রাখার
জন্য। তাই
খাবার রান্নাও করে কম, এজন্য
তোমাকে দেবার
মতন খাবার নাই ।
এই কথা বলে নিজের পকেট থেকে ৫
টাকা
বের করে বলল আমার কাছে এই কয়টা
টাকাই
আছে, তুমি কিছু খাবার কিনে খেয়ে
নিও।
ভিক্ষুকের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে
দারওয়ানের টাকাটা নিয়ে হাত
তুলে দোয়া করল ,
হে আল্লাহ্ যে আমাকে ক্ষুধা
নিবারণের জন্য
তার যা ছিল তাই আমাকে দিয়ে দিল
তাকে তুমি দুনিয়া
এবং আখিরাতের ধনী বানিয়ে দিও ।
এই কথা বলে
সে চলে গেল । কিছুদিন পর দারওয়ান
একটা লটারির
১ম পুরস্কার পেল । সে ঐ টাকা দিয়ে
বিজনেস
শুরু করল, কিছুদিনের মধ্যেই তার অনেক
টাকা
হয়ে গেলে । সেই টাকা দিয়ে সে
একটা
আশ্রম বানাল । যেখানে অসহায়, অনাথ
,
বয়স্ক
লোকজন থাকত । এদিকে যে বাড়িতে
সে কাজ
করতো সেই বাড়ির কর্তা হঠাৎ মারা
যায় ।
ছেলেমেয়েরা সবাই যার যার
সংসার নিয়ে ব্যস্ত ।
বাড়ির কর্ত্রী সবার কাছে বোঝা
হয়ে উঠল ।
সবাই মিলে তাকে ওই দারওয়ানের
আশ্রমে
রেখে আসলো । আসার পর দেখল তার
বাড়ির
এক সময়ের দারওয়ান এই আশ্রমের
মালিক ।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই আশ্রমে
সেদিনের
সেই ভিক্ষুকটাও থাকে ।"
.
(
এইখানে আমি বলতে চাই , অসহায়
ক্ষুধার্তকে
কখনো ফিরিয়ে দিবেন না । কতো সময়
কতো
খাবার আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দিই
,
অথচ একটু
খাবারের জন্য কতো মানুষ রাস্তায়
রাস্তায় ঘুরে
বেড়াচ্ছে । আপনার সামান্য একটু
সহানুভুতি কারো
মুখে হাসি ফুঁটাতে পারে । যার যা
আছে তাই দিয়ে
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ।
অসহায় মানুষকে
সাহায্য করতে পারলে দেখবেন মনটা
খুশিতে
ভরে উঠবে। । ভাগ্য কখন কাকে কোথায়
কোন অবস্থায় রাখে কেউ জানে না ।
আমার এই
লেখা যদি কারো মনে একটুও দাগ
কাটে আর
অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত
বাড়ায় তাহলেই


  • আমার লেখার স্বার্থকতা।

অসহায় দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন অসহায় দের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন Reviewed by Unknown on 3:59 AM Rating: 5
ads 728x90 B
Powered by Blogger.